মামি-ভাগনের প্রেম কাহিনী, বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে বিয়ের দাবিতে ভাগনের বাড়িতে অনশন করেছেন মামি সীমা আক্তার। বুধবার ঐ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামে ভাগনের বাড়িতে অনশনরত দেখা যায় তাকে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চরমথুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মেয়ে সীমা আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামের প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের মোবাইলে বিয়ে হয়। বিল্লাহ হোসেন দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তার ভাগনে আনোয়ার হোসেন মানিকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সীমা আক্তার। মামি-ভাগনে সম্পর্কের কারণে মানিক-সীমার অবাধ মেলামেশায় কারো আপত্তি হয়নি।

সীমা আক্তার জানান, বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো আনোয়ার হোসেন মানিক। বিভিন্ন কৌশলে সে মামির আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। এক পর্যায়ে মানিকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সীমা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় স্বামী বিল্লালের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় তার। এক পর্যায়ে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে সীমাকে বিয়ে করার কথা বলে বিদেশে পাড়ি জমায় মানিক। চার বছরেও সে ফিরে আসেনি। পরে পরিবারের চাপে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের এনামুল হককে বিয়ে করেন সীমা। কিন্তু মানিকের কারণে সেই সংসারও ভেঙে যায়।

সীমার অভিযোগ মানিক তাকে অনেকবার স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেছে। সে বিয়ে না করলে আত্মহত্যারও হুমকি দেন তিনি।

গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি মাত্র জেনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল জানান, সীমা আক্তার ৯৯৯-এ কল করেছেন। তাদের একটা মামলাও চলমান। বিষয়টির সমাধান করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।