কয়েক বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে ফেরেন ৩০ বছর বয়সী আতিক হাসান। মাসখানেক আগে পরিবারের সম্মতিতে বিয়েও করেন। কিন্তু বিদেশে থাকতেই বিয়ে করার কথা দিয়েছিলেন প্রেমিকাকে। আর এ টানেই নতুন বউকে ঘরে রেখে প্রেমিকার বাড়িতে ওঠেন এ প্রবাসী। তাও গভীর রাতে। তবে প্রেমিকার কাছ থেকে যেতে না চাইলে আতিককে পুলিশে তুলে দেন এলাকার লোকজন।
বুধবার এ ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান আতিক। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে। আতিক নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কপালহর গ্রামের মো. সুলতান উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় আট বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন আতিক। জুন মাসের শেষ দিকে দেশে ফেরেন তিনি। পরে কোরবানি ঈদের কিছুদিন আগে নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে তাকে বিয়ে করান পরিবারের লোকজন।
ওই নববধূর এক স্বজন জানান, নিজের অমতে বিয়ে হয়েছিল বলে কদিন ধরেই স্ত্রীকে বলছিলেন আতিক। এ নিয়ে নববধূর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। এর মধ্যেই বুধবার রাত ১০টার দিকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর ফেরেননি তিনি। পরে পাশের তসরা গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে তিনি আটকা পড়েছেন বলে জানা যায়। পরে নববধূ ছুটে যান সেখানে। অনেক চেষ্টা করেও স্বামীকে ফেরাতে না পেরে ফিরে আসেন ক্ষুব্ধ নববধূ। বেকায়দায় পড়ে বিষয়টি পুলিশে জানান আতিকের পরিবারের লোকজন। পরে তাকে থানায় নেয়া হয়।
নান্দাইল থানার এসআই মো. আবুল কালাম জানান, দুই পরিবারের সম্মতিতে আতিক আর কখনো প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন না মর্মে মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পান।