গতকাল বুধবার (২২ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশালের নবগ্রাম রোড (চৌমাথা) এলাকার শৌখিন মৎস্য শিকারি রাজিব আহম্মেদ, রাজু, আজিজ আহম্মেদ, বাপ্পি চৌধুরী ও শিপলু খানের বড়শিতে এসব মাছ ধরা পড়ে।
রাজিব আহম্মেদ ও রাজু জানান, শখেরবশে বিভিন্ন স্থানে টিকিট কিনে বড়শি দিয়ে মাছ ধরি। বুধবার সকালে দুদিনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনে দুর্গাসাগর দিঘিতে বড়শি ফেলেন। সাড়ে সকাল ৮টার দিকে বড়শিতে হ্যাঁচকা টান পড়ে। এর ছিপ তুলে দেখেন ২০ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ। দেড় ঘণ্টা পর তাদের বড়শিতে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা ধরা পড়ে। এরপর কয়েক দফায় বড়শি ফেললেও কোনো মাছ বড়শিতে ধরা পড়েনি। বিকেল ৪টার দিকে তাদের বড়শিতে ৩০ কেজির একটি কাতলা ধরা পড়ে।
রাজিব আহম্মেদ বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আরেকটি ১০ কেজি ওজনের বিগহেড মাছ ধরা পড়ে। বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত বড় কাতলা, ২০ কেজি ওজনের পাঙাশ, ১২ কেজি ওজনের আরেকটি কাতলা, ১০ কেজি ওজনের বিগহেড ছাড়াও ৩-৪ কেজি ওজনের আরও ৮টি রুই-কাতলা ধরা পড়ে।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, দুর্গাসাগর দিঘির মাছের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। দিঘির মাছ খুবই সুস্বাদু হয় বলে শুনেছি। বড় কোনো মাছ হলে তো কথাই নেই। সেখানে টিকিট কেটে শৌখিন শিকারিরা বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন। বড়শিতে ধরা পড়া মাছ বাজারে ওঠে না।’
উল্লেখ্য, বরিশালের বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর দিঘিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ৩০ কেজি ওজনের একটি কাতলা। এছাড়া ২০ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ ও ১০ কেজি ওজনের একটি বিগহেডসহ বেশ কয়েকটি বড় সাইজের মাছ ধরা পড়েছে।