মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন পিতৃহারা ইভা খাতুন। কিন্তু তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দরিদ্রতা। অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে ইভার।
ইভা খাতুন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সলইপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র ঝরণা বেগমের মেয়ে। দুই বছর চার মাস বয়সে কিডনিজনিত রোগে মারা যান তার বাবা। মায়ের অভাব-অনটনের সংসারে বড় হতে থাকেন ইভা। এসসএসসি পাশ করে টিউশনি করে মায়ের সঙ্গে সংসারে সহযাগিতা করতেন তিনি। নানার বাড়ি থেকে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজ হতে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
প্রথমে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলেও পড়ার সুযোগ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণে হাল ছাড়েননি ইভা। নতুন করে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। চলতি বছর পুনরায় মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় মাগুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ হয় তার। কিন্তু অর্থের অভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ইভা ও তার মা।
ইভার মা ঝরণা বেগম বলেন, ‘আর্থিক অভাব-অনটনের সংসারে অনেক কষ্ট করে মেয়েকে এত দূর এনেছি। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তিসহ পড়াশোনার খরচ বহনের মতো অবস্থা আমার নেই। এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।’ইভা বলেন, ‘মায়ের সহযোগিতায় ডাক্তারি পড়ার সুযোগ তৈরি হলেও অর্থের অভাবে তা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিত্তবানদের সহায়তা ছাড়া মেডিকেলে ভর্তি ও ডাক্তারি পড়া সম্ভব নয়।
