সারা বছর চাষযোগ্য বারি উদ্ভাবিত পেঁয়াজ, উৎপাদন তিনগুণ বেশি

দেশে পেঁয়াজ সংকট মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)। উদ্ভাবন করেছে বারি পেঁয়াজ-৫। এটি বারো মাস চাষ করা যায় এবং অন্যান্য পেঁয়াজের চেয়ে এর উৎপাদন তিনগুণ বেশি। আকারেও তুলনামূলক অনেক বড়। অথচ উদ্ভাবিত পেঁয়াজের এ জাতটি প্রান্তিক কৃষকপর্যায়ে পৌঁছেনি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, সাধারণ কৃষক পর্যন্ত এ জাতের পেঁয়াজের বীজ পৌঁছলে দেশে পেঁয়াজের সংকট থাকবে না। সাধারণ মানুষের অগোচরে থেকে যাওয়া বারি পেঁয়াজ-৫ জাত সম্পর্কে মাঠপর্যায়ের কৃষকদের অবহিত করার উদ্যোগ

নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন এলাকার ৭০ কৃষককে বারিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

মাঠ দিবসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় বারি পেঁয়াজ-৫-এর সঙ্গে। জাতটি বেশ আগে উদ্ভাবন করা হয়েছে। তবে প্রচার-প্রসার কম হওয়ার কারণে মাঠপর্যায় থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ টন। সেখানে আমাদের দেশে পেঁয়াজের মোট উৎপাদন প্রায় ২৬ লাখ টন। ফলে প্রতি বছর ১০ লাখ টন পেঁয়াজ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

অথচ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছে বারো মাসই পেঁয়াজ চাষের প্রযুক্তি রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে বারি পেঁয়াজ-৫। বারি উদ্ভাবিত পেঁয়াজের জাতটি শুধু যে সারা বছর চাষ করা যায় তা নয়, এর উৎপাদনও দুই থেকে তিনগুণ

বেশি। প্রতি বিঘায় অন্যান্য জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন যেখানে ২৫ থেকে ৩০ মণ সেখানে বারি পেঁয়াজ-৫-এর উৎপাদন

৭৫ থেকে ৮০ মণ। তাই বারোমাসী এ পেঁয়াজ চাষ করলে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানোও সম্ভব হবে।