অবশেষে জীবন যু’দ্ধে হেরে গে’লেন ৩০২ কেজি ওজনের মাখন মিয়া

অস্বা’ভাবিক ওজন নিয়ে জীবন যু’দ্ধে হেরে অবশেষে পৃথিবী থেকে বিদা’য় নিলেন ৩০২ কেজি ওজনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাখন মিয়া (৪০)।

সোমবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতা’লে মৃ’ত্যুবরণ করেন তিনি। মাখন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলের মি’লন মিয়ার ছে’লে।

মাখন মিয়ার ওজন শুরুতে স্বা’ভাবিক থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। মৃ’ত্যুকালে তার ওজন দাঁড়ায় ৩০২ কেজি। অস্বা’ভাবিক এই ওজন নিয়ে মানবেতর দিন কা’টাচ্ছিলেন মাখন মিয়া। অবশেষে ওজনের কারণে জীবন যু’দ্ধে হেরে মৃ’ত্যুর কোলে ঢলে প’ড়েন মাখন মিয়া।

মাখন মিয়ার পরিবার জা’নায়, গত কয়েক দিন যাবত মাখন মিয়া শ্বা’সক’ষ্ট ও হৃদরো’গে ভুগছিলেন। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত স্বা’ভাবিকই ছিলেন মাখন মিয়া। তারপর হ’ঠাৎ বাড়তে থাকে তার শ’রীরের ওজন। শেষ পর্যন্ত তার ওজন ৩০২ কেজিতে ঠেকে।

চিকিৎ’সাও ক’রেছেন একাধিকবার, কিন্তু অস্বা’ভাবিক ওজনের কারণে ব্যা’হত হচ্ছিল চিকিৎ’সা। তার চিকিৎ’সা ব্যয় বহন ক’রতে গিয়ে এখন নিঃস্ব মাখন মিয়ার পরিবার। দুই সন্তান ও স্ত্রী’ নিয়ে খেয়ে পরে বেঁ’চে থাকাই ছিল ক’ষ্ট’কর।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতা’লের জরুরী বিভাগ কর্তব্যরত চিকি’ৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জা’নান, সোমবার রাতে মাখন গু’রুতর অ’সু’স্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতা’লে নিয়ে আসেন। তার ওজনের কারণে হাসপাতা’লের ভেতরে জরুরী বিভাগে ঢুকানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতা’লের গেটেই তাকে চিকিৎ’সা দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, মাখনের শ্বা’সক’ষ্ট স’মস্যা ছিল। হাসপাতা’লে তার বুকে ব্য’থা ছিল। নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর ইসিজি করার পর তার মৃ’ত্যু নি’শ্চিত নি’শ্চিত করেন এই চিকি’ৎসক।