পেঁয়াজ আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে আসতে সরকার হাতে নিয়েছে নানা ধরনের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অঞ্চলভিত্তিক চাষাবাদ এলাকা তৈরি করতে যাচ্ছে সরকার।
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টন। বিপরীতে চলতি বছর উৎপাদন হয়েছে ২৪ লাখ টন। তবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ঘাটতি ২৫ শতাংশ ছাড়া বাৎসরিক উৎপাদন প্রায় ১৯ লাখ টন। এই ঘাটতি মেটাতে পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় ভারতের ওপর। ফলে রফতানি বন্ধ করলেই বাজার কারসাজিতে নেমে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ফরিদপুর, পাবনা, নাটোরসহ বিশেষ কিছু এলাকায় কৃষি কর্মকর্তাদের
সার্বক্ষণিক তদারকির মধ্যে রাখা হবে। সেই সঙ্গে থাকবে বীজ সংরক্ষণ ব্যবস্থা। উৎপাদন বৃদ্ধিতে মাঠপর্যায়ে উন্নত বীজ সরবরাহ করা হবে।
এ অবস্থায় আবাদ বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে তিন বছরের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। এদিকে পর পর দুই বছর ভালো দাম পেয়ে পেঁয়াজ আবাদে উৎসাহী কৃষকরাও। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পাবনা, নাটোর জেলায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণ।
এবার পাবনা, ফরিদপুর, রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়াসহ ১৪টি জেলায় প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। উৎপাদন আরো বাড়াতে এই জেলাগুলোতে ক্রপিং জোন স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
এছাড়া ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও শরিয়তপুর জেলায় ৮৩ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে নয় লাখ ৪১
হাজার ৪৮৩ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলায় ৩০ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে তিন লাখ ৪৪ হাজার ৬২৩ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।