ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে গলায় ফাঁস দিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। স্কুলছাত্রীর নাম শারমিন আক্তার (১৪)। ওই স্কুলছাত্রী ফাস দেওয়ার সময় পোশাকের সাথে পিন দিয়ে সাটানো চিরকুট লিখে গেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমাকে যেন ময়নাতদন্ত না করে।’ শারমিনের ভাই সানোয়ার জানান, শারমিন স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। সে গত মঙ্গলবার(২৮ এপ্রিল) রোজা ছিল। ইফতার শেষে খাওয়া দাওয়া করে এশারের নামাজ শেষে রাতে সবাই ঘুমায়ে যাই।
পরে রাত ১২ টার দিকে আমি বাথরুমে যাওয়ার জন্য বের হলে তাকে বাড়ির চুলা ঘরের নিকট আম গাছের সাথে দড়ি দিয়ে গলাঁয় ফাঁসরত অবস্থায় দেখতে পেয়ে। চিৎকার দিয়ে তার কাছে যেতে যেতেই ছটপট করতে করতে সে মৃত্যু বরণ করেন। পরে তার মরদেহ নামিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলামকে ফোন দিয়ে জানালে। তিনি থানায় জানালে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
তবে পুলিশ বুধবার (২৯ এপ্রিল) লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে লাশ পাঠিয়েছে বলে জানান ভাই সানোয়ার।
তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে শারমিন ছিল ছোট। তাঁদের বাড়ি উপজেলার বলিদ্বাড়া তেঘরিয়া গ্রামে। কী কারণে শারমিন আত্মহত্যা করেছেন, এ বিষয়ে ভাই সানোয়ারসহ তাঁর পরিবারের লোকজন কিছু বলতে পারেননি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসার পর আত্নহত্যার বিস্তারিত পাওয়া যাবে।