সিরাজের নৈশপ্রহরী জানালেন গোপনে কী দেখতেন

ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আ****ে পুড়িয়ে হ***র ঘটনায় করা মামলায় সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী মোস্তফার জেরা শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে মোস্তফার জেরা করা হয়।

মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী মোস্তফা আদালতকে জানান- অধ্যক্ষ সিরাজ ইতিপূর্বে অনেক ছাত্রীর ইজ্জত নষ্ট করেছেন। রাফির ঘটনার কয়েক মাস পূর্বে মোস্তফা মাদ্রাসার জরুরি কাজে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পান, অধ্যক্ষ সিরাজ এক ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে আছে।

‘তিনি এ দৃশ্য দেখে দ্রুত অফিস কক্ষ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে অধ্যক্ষ সিরাজ তার চোখে দেখা এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে পুলিশ দিয়ে চুরির মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।’

তিনি জানান, ‘অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা পরপর দুটি শ্লীলতাহানির ঘটনায় ধরা পড়েন। শুধু নুসরাত নয়, এর আগেও নিজ দপ্তরে একাধিকবার তাকে মেয়েদের সঙ্গে আ***কর অবস্থায় দেখেছি। এতে তিনি আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। একবার তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পাথরের সঙ্গে কপাল ঠুকলে মাথা ফাটবে, নাকি পাথর ফাটবে?’ আমি বলেছিলাম মাথাই ফাটবে।’

এই নৈশপ্রহরী আরো বলেন, ‘অধ্যক্ষের দপ্তর ছিল নিচতলায়। মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনা একাধিকবার আমার চোখে পড়েছে। তিনি নিচতলা সেফ মনে না করায় ‘সাপ ঢুকেছে, নিচতলার দপ্তর নিরাপদ নয়’ বলে পাশের ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার অফিস স্থানান্তর করেন।’

আসামী পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু জানান, নৈশপহরী মোস্তফা যে সব সাক্ষ্য আদালতে দিয়েছে, তার কোনোটাই সঠিক নয়। মোস্তফার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার বিভিন্ন মালামাল চুরিসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা বিভিন্ন সময় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে মোস্তফা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে টুইটারে ট্রলের বন্যা