রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার আস্করপুর গ্রামে পরকিয়ার প্রেমের টানে অন্যের স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসীর কাছে হাতেনাতে আটক হওয়া পুলিশের এসআই ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা হয়েছে।
২৮ জুন শুক্রবার দিবাগত রাতের এ ঘটনায় অভিযুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় মামলা নিতে বিলম্ব করায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
সোমবার (১ জুলাই) রাজশাহীর বিজ্ঞ আমলী আদালতে এসআই (সন্ত্র) ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয় বলে জানান বাদি গৃহবধুর স্বামী নাছির উদ্দিন।
মামলার আসামি ছানোয়ার হোসেন নাটোরের সিংড়া থানার বিলদহর নতুন পাড়া গ্রামের আরশেদ প্রাং এর ছেলে। ছানোয়ার দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদা (রাজশাহী) তে এসআই (সন্ত্র) হিসেবে কর্মরত থাকলেও ঘটনার পর তাকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে আর্মস সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
মামলা সূত্র জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী নাছির উদ্দিন জীবিকার জন্য ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। বাড়িতে স্ত্রী ও তার ছেলে বসবাস করেন। এদিকে পুলিশ কর্মকর্তা ছানোয়ার একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল রাজ্জাকের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সে সুবাধে গত দুই মাস যাবত নাছির উদ্দিনের স্ত্রীর সাথে পরকিয়া সর্ম্পক গড়ে উঠে ছানোয়ারের।
গত ২৮ জুন শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নাছির উদ্দিনের বাড়িতে তার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় লিপ্ত হয় ছানোয়ার। বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেয়ে দুইজনকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে। পরে তারা ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ কর্মকর্তা নিজের কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। একপর্যায়ে ছানোয়ার তার সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করলে তাদের সহযোগিতায় বীরদর্পে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই অভিযুক্ত এসআই এর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন। এছাড়া ঘটনার পরদিনই তাকে গাইবান্ধা জেলায় তার নিজ ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর চারঘাট মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক উপজেলার ওই গ্রামের স্থানীয় সহযোগী প্রতিবেশিরা মিথ্যা মামলায় হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।