সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তদের আঘাতে মাথা ফেটে যাওয়া কিশোর ভ্যানচালক শাহীনের লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়েছে। তবে অক্সিজেন লাগানো আছে। সে ‘মা-মা’, ‘আল্লাহ-আল্লাহ’ বলে ডাকছে। কেউ ডাকলে সাড়া দিচ্ছে। তার অপারেশন সফল হয়েছে, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শাহীনকে দেখতে এসে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, তার ওষুধপত্র, চিকিৎসায় যা যা প্রয়োজন হাসপাতাল থেকে সব দেয়া হচ্ছে। তার প্রতি আমাদের বিশেষ নজর আছে, প্রধানমন্ত্রীও তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই না কেউ এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হোক। আল্লাহর রহমতে শাহীন সুস্থ হয়ে তার কাজে ফিরে যাবে।
আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখে। বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী অপরাধ করে পার পায়নি, এবারও পাবে না। যদি এখনও গ্রেফতার না হয়, আমি আশা করব মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
গত শুক্রবার যশোরের কেশবপুরের গোলাখালী মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহীন সকালে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে রোজগারে বের হয়েছিল। দুপুরে দুর্বৃত্তরা ভ্যানটি ভাড়া নেয়। পরে ধানদিয়া গ্রামের হামজামতলা মাঠে ঢুকে একটি পাটখেতের পাশে দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়।
শাহীনকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনার আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে আনা হয়। শনিবার রাতেই তার মাথার অপারেশন সম্পন্ন হয়।