বরগুনা সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কু**** হ*** মামলার মূল আসামিরা জেলা আওয়ামী লীগের চিরচেনা
দুই প্রতিপক্ষের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমনটাই একে অপরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পাওয়া গেছে।
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পক্ষের লোকজনের অভিযোগ, রিফাতের হ***কারী রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। দেলোয়ার হোসেনের প্রশ্রয়েই এ দুই ভাই রিফাত হ***র মতো অপরাধে দুঃসাহসী হয়ে ওঠে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন দাবি করেছেন, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথের ছত্রছায়ায় রিফাত হ*** মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডসহ অন্যরা বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে বলে তিনি শুনেছেন।
সুনাম দেবনাথের ফেসবুক স্ট্যাটাস নজর এড়ায়নি দেলোয়ার হোসেনের। এ নিয়ে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় তিনি হ***কারীদের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই দাবি করেন এবং হ***কারীদের ফাঁ**ি চান।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, রিফাত ফরাজী আমার আত্মীয়। কিন্তু ওদের সঙ্গে আমার কোনও র**ের সম্পর্ক নেই। ওরা আমার ছেলেও না, ভাইও না, ভাইয়ের ছেলেও না, বোনের ছেলেও না, কিচ্ছু না। বিয়ের সূত্রে রিফাত আমার আত্মীয়। এমন অনেক আত্মীয় থাকে সবারই। তারা কেউ ভালো হয়, কেউ খারাপ হয়, কেউ চোর হয়, কেউ সন্ত্রাসী হয়, ডাকাত হয়। সুতরাং এখানে আমার ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার কারণটা কী, আমি ঠিক বুঝতে পারি না। আমি এদের কোনোদিন প্রশ্রয় দিইনি।’
বিভিন্ন সময় আপনার কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে আপনি নাকি অভিযোগকারীদের অপমান-অপদস্থ করতেন, এ প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি নয়ন বন্ডকে চিনি না। কিন্তু শুনেছি, এই নয়ন নাকি সুনামের শিষ্য। সুনামের নেতৃত্বেই নয়নরা বিভিন্ন অপকর্ম করতো।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সূত্র জানায়, বিভিন্ন মামলায় নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী কারাগারে গেলে মোতালেব মিয়া ও হুমায়ন কবির পল্টু নামের দুই আইনজীবীর মাধ্যমে তারা মুক্ত হতে খুব বেশি সময় নিতো না। এই দুই আইনজীবী দেলোয়ার হোসেনের খুব কাছের লোক।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রিফাত ও রিশান যখন মা***ে জড়ায়, তারপর থেকে আমি ওদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। আমার স্ত্রীকেও তাদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলি