নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আপত্তিকর ছবি তুলে অসংখ্য ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১১ এর একটি দল স্কুলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
এলাকাবাসী বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম আট বছর ধরে স্কুলটিতে অংক ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। দীর্ঘ এ সময়ে অসংখ্য ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে ধর্ষণ করেছেন তিনি। ছাত্রীদের কোচিং করানোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেন। এলাকায় তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রচার হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে যান। এ সময় আরিফুল ইসলাম তার মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবি ডিলিট করেন।
কিন্তু এলাকাবাসী মোবাইলটি উদ্ধার করে এলাকার একটি মোবাইলের দোকানে নিয়ে সফটওয়ারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করেন। ছবিগুলো দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। পরে তারা ওই স্কুলে হামলা চালান। এ সময় স্কুলের লম্পট শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেয়া হয়। পরে র্যাব-১১ এর একটি দল গিয়ে তাদের আটক করে।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ, উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈদ ও হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, ‘অক্সফোর্ড স্কুলের শিক্ষক বিভিন্ন ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা করেছে এমন খবরের ভিত্তিতে স্কুলে এসে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে আটক করি। তার মোবাইলে যে সমস্ত ডকুমেন্টস পাই তা অত্যন্ত ভয়ানক। বিভিন্ন কৌশল করে সে ২০’র অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার চিত্র তার মোবাইলে ধারণ করে’।
তিনি জানান, আরো কিছু ডিভাইস পেয়েছি যা এখনো চেক করার সম্ভব হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এতে জড়িত। পরে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষককেও আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমদের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা স্বপ্রণোদিত হয়েই ইনভেস্টিগেশনটি করেছি। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারদের ডাকব, তারা যদি মামলা করে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অথবা সাইবার অ্যাক্টে যে অপরাধ হয়েছে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।