ব্যাংকে বৃদ্ধার ৯৯ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। ব্যাংকের ক্যাশ ম্যানেজার বলছেন তিনি টাকা দিয়েছেন। তবে কাকে দিয়েছেন সেটার আর কোনো হদিস নেই। টাকা খুইয়ে আহজারি করছেন বৃদ্ধা ওই গ্রাহক। রোববার দুপুর ১২টার দিকে সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কান্নাকাটি করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক রোকেয়া বেগম। তিনি শহরের মিলবাজার এলাকার মাসুম বিল্লাহর স্ত্রী।
রোকেয়া বেগম বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী আমি ৯৯ হাজার টাকার চেক দিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। ক্যাশিয়ার আমার নাম ধরে ডেকে টোকেনটি নেন। পরে আমার হাতে কোনো টাকা দেননি। এখন বলছেন আমাকে নাকি টাকা দিয়েছেন।’
ওই সময় ব্যাংকে টাকা তুলছিলেন দেবহাটা উপজেলার সরকারি খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ কলেজের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রভাষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বৃদ্ধা ওই নারী একপাশে আর আমি অন্যপাশে দাঁড়িয়েছিলাম। ক্যাশ ম্যানেজার বৃদ্ধার কাছ থেকে নাম ডেকে টোকেন নিয়েছেন। এরপর এক হাজার টাকার ৯৯টি নোট তিনবার মেশিন দিয়ে গোনেন। এ সময় ওই নারীর পাশে একজন ৪০-৪৫ বছর বয়সী লোক দাঁড়িয়েছিলেন, যাকে টাকাগুলো নিয়ে চলে যেতে দেখেছি। তবে টাকাগুলো কার সেটিতো আমি জানি না। এছাড়া ক্যাশ ম্যানেজার টাকা দেয়ার সময় কোনো নাম ধরেও ডাকেননি।’
ঘটনা জানাজানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৈ চৈ পড়ে যায় ব্যাংকে। ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমি টাকা দিয়েছি। তবে বৃদ্ধার টাকা কার হাতে দিয়েছেন তার কোনো উত্তর নেই তার কাছে।
ঘটনার পর ব্যাংকের সিসি টিভির ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখা ব্যাপস্থাপকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি কোনো ছিনতাইয়ের নয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেখবে বিষয়টি। এছাড়া থানায় কেউ এখনও কোনো অভিযোগ জানায়নি।