ল্যাম্বোরগিনি’র আদলে তৈরি সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা গাড়ীতে এবার সস্ত্রীক চড়লেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া। নিজ কার্যালয়ের সামনে নিজেই স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে গাড়িটি চালান তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বেসরকারী টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার প্রদানের জন্য তাকে ডিসির কার্যালয়ে নিয়ে আসেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ বিষয়ে ডিসিকে অবগত করা হলে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে নিচে নেমে আসেন এবং আকাশের তৈরী পরিবেশবান্ধব গাড়িটি দেখেন। এ সময় তার স্ত্রীসহ গাড়ীটিতে বসে ডিসি কার্যালয়ের সম্মুখে ও আদালত প্রাঙ্গণে ঘুরে আসেন।
এরপর গণমাধ্যমে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক জানান, ‘নারায়ণগঞ্জে এমন প্রতিভাবান ছেলের উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। আমার মনে পড়ছে যে বাংলাদেশের সড়ক ব্যাবস্থাপনায় থ্রি হুইলার নিয়ে অনেক কথা হয়। পাশাপাশি অটোরিক্সা ও ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের জন্য অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়।
আমরা যদি আকাশের ব্যাটারিচালিত গাড়িটিকে সরকারীভাবে পৃষ্ঠ পোষকতা করতে পারি তাহলে সড়কে আমুল পরিবর্তন আসবে বলে আমার বিশ্বাস। তখন দেখা যাবে ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলারের পরিবর্তে এরকম ৪ চাকার গাড়ি রাস্তায় চলবে।’
গাড়িটি বাজারজাত করার জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা আনা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি সরকারের থেকে পৃষ্ঠপোষকতা এনে দেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করবো। এই গাড়িটির ছবিসহ লিখিত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করবো। একই সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে। আমার মনে হয় এই ৩টি স্থানে প্রতিবেদন প্রেরণের পর সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সড়কে যেসকল গাড়ী চলে তার অধিকাংশই পরিবেশবান্ধব হয়না। সাধারণত পরিবেশবান্ধব গাড়ির প্রতি সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। তাই আমি মনে করি সরকারের সুদৃষ্টি সে অচিরেই লাভ করবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গাড়ির জগতে নতুন দিগন্তে উন্নীত হতে পারবে। এরপর ডিসি গাড়ি নির্মাতা আকাশ আহমেদকে শুভেচ্ছা জানান এবং তার কাজ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।