খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে প্রধান শিক্ষকের হাতে নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্র হোসেন আলীকে। চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে পাঠিয়েও বাঁচানো গেল না। গত শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে ভারত থেকে লাশ আসার পর মহালছড়ির গ্রামের বাড়ি সিলেটি পাড়ায় তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ওই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ওই স্কুলছাত্র হোসেন আলীর বাবা মো. শফিউল আলম জানান, ৫ম শ্রেণির ছাত্র হোসেন আলীকে প্রধান শিক্ষক তার বাসায় প্রাইভেট পড়াতেন। ২ দিন ধরে পড়তে না যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক তাকে ৩১০ বার কান ধরে ওঠ-বস করায়। এ শাস্তির পর আবারও ২০ মিনিট ধরে তাকে হাটুর নিচে মাথা রেখে শাস্তি দেন ওই শিক্ষক।
এ সময় ওই ছাত্রের মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে প্রথমে খাগড়াছড়ি ও পরে চট্টগ্রাম চিকিৎসা দেওয়া হয়। সবশেষে ভারতের চেন্নায়ে পাঠানো হয় গত মে মাসে। সেখানে ১ মাস চিকিৎসার পর হোসেন আলী মৃত্যুর মুখে ঢলে পরে।
মো. শফিউল আলম আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রতন শীলসহ ভারতের চেন্নাইয়ে যাওয়ার আগে শিক্ষা অফিসে এক বৈঠক হয়। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ছাত্র হোসেন আলীর চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ টাকা দেন।
মহালছড়ি উপজেলার শিক্ষা অফিসার দিপিকা খীসা জানান, অভিভাবকরা আমাকে একটা লিখিত অভিযোগ করেছেন। সে অনুযায়ী আমরা প্রাথমিকভাবে ছাত্রকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের বৈঠকের পরও ছাত্রের চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ টাকা অভিভাবকের কাছ দেওয়ায় তদন্ত কাজ স্থগিত হয়ে যায়। তবে অভিভাবকরা ফের চাইলে নতুন করে তদন্ত শুরু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মহিন উদ্দিন খন্দকার বলেন, মানবিক কারণে আমি চিকিৎসার জন্য টাকা দিয়েছি। তবে তিনি কত টাকা দিয়েছেন তা এড়িয়ে যান।