পবিত্র রমজান মাসে স্ত্রীর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক থেকে বিরত ছিলেন। ঈদের পর সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে স্ত্রী বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চার সন্তানের জননী পারভীন বেগমকে (৪৬) শনিবার গভীর রাতে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সিরু খা (৫০)। রবিবার সকালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের শিবা গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের শিবা গ্রামের বাংলা বাজারের পাশে নিজ বাড়িতে সিরু খা পরিবাবার পরিজন নিয়ে থাকতেন। সিরু খার সাথে প্রতিবেশীদের বিরোধ চলে আসছিল। নিজের পরকীয়া প্রেম ও প্রতিবেশিদের ডাকাতি ও খুনের মামলায় ফাঁসাতে শনিবার রাত ১টার দিকে স্ত্রী পারভীনকে ঘর থেকে ডেকে বাইরে এনে বাংলা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সিরু খার ছোট ছেলে নুর আলম পুলিশের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন। এরপরই সিরু খাকে বড়শিবা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে সিরু খার ছোট ছেলে নুর আলম বলেন, ‘আব্বায় ক্যান যে এ ঘটনা ঘটাইছে কইতে পারি না। রাইতে আমার মাকে দাও (দা) দিয়ে কোপ দিলে সে দৌড়ে ঘরের বাইরে চলে যায়। সেখানে এলোপাথারি কুপিয়ে জবাই করে। এ অবস্থায় আমি পালিয়ে প্রতিবেশিদের ডেকে আনি।’
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত পারভীনের স্বামী সিরু খাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সিরু খাকে জিজ্ঞাসাবা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আরও বলেন, জিঙ্গাসাবাদে তিনি তিন রকমের তথ্য দেন। প্রথম তথ্যটি হলো- পুরো রমজান মাসে স্ত্রীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক নেই। ঘটনার রাতে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে স্ত্রী না বলেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে তিনি স্ত্রীকে দা দিয়ে কোপান। দ্বিতীয় তথ্যটি হলো- ঢাকা থেকে তার এলাকায় যাওয়া এক মেয়ের প্রতি দুর্বল হন তিনি। তাকে বিয়ে করতে চান। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান তার স্ত্রী। আর তৃতীয় বিষয়টি হলো- ডাকাতরা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, সিরু খা এক সময় নিজেও ডাকাতি করতেন। তিনি এক দুর্ধর্ষ প্রকৃতির মানুষ।