নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুরে মসজিদের ইমামকে দাঁড় করিয়ে মিম্বারে বসে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন।
গিয়াস উদ্দিন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এলাকায় ‘ডাকাত গেসু’ নামে পরিচিত গিয়াস উদ্দিন।
কাশীপুরের মসজিদের ইমামকে দাঁড় করিয়ে মিম্বারে বসে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছেন এলাকাবাসী।
তবে গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের দাবি, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারেন না গিয়াস উদ্দিন। দাঁড়াতে কষ্ট হয় তার। বসে বসে নামাজ আদায় করেন তিনি। ফলে ইফতার অনুষ্ঠানে গিয়াস উদ্দিনকে এক প্রকার জোর করে মসজিদের ইমাম মিম্বারে বসিয়ে দেন। ইমামকে ছোট করার উদ্দেশ্যে মিম্বারে বসেননি তিনি।
এদিকে, মসজিদের ইমামকে দাঁড় করিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনের মিম্বারে বসে থাকা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের মিম্বারে বসার ওই ছবি ভাইরাল হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার ফতুল্লা থানার কাশীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় নিজের প্রতিষ্ঠিত মসজিদে ইফতারের আগে মিম্বারে বসে মসজিদের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন।
ওই সময় মসজিদের ইমামকে দাঁড় করিয়ে মিম্বারে বসে থাকার ঘটনায় এলাকায় তীব্র সমালোচনা হয়েছে। ওই মসজিদে উপস্থিত অনেকে বলেছেন, দাম্ভিকতা ও নিজের প্রভাব বোঝাতে এমন কাজ করেছেন গিয়াস উদ্দিন। তার ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে গিয়াস উদ্দিনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শামীম আহম্মেদ বলেন, আমার বাবা শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ। দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারেন না। চেয়ারে বসে মসজিদে নামাজ পড়তে হয়।
শুক্রবার ইফতার অনুষ্ঠানের সময় মসজিদের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা ও দোয়া করার সময় ইমাম সাহেব জোর করে আমার বাবাকে মিম্বারে বসিয়ে দেন। প্রথমে বাবা মিম্বারে বসতে আপত্তি করলেও ইমাম সাহেব জোর করার কারণে বসতে বাধ্য হয়েছেন।