ব্যবসায়ী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সাবিকুন্নাহার রূপা (৩২) নামে এক আইনজীবী।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে প্রাণে বাঁচেননি তিনি। আজ সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
আইনজীবী সাবিকুন্নাহার রূপা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নবীর হোসেন মোল্যার মেয়ে ছিলেন। দাফনের জন্য তার লাশ টুঙ্গিপাড়ায় নেওয়া হয়েছে।
রূপার ভাই বাবু মোল্লা দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, ১২ বছর আগে মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার ব্যবসায়ী তমাল মাহমুদের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। সম্প্রতি তমাল কোনো কাজের মেয়েকে বিয়ে করেছেন বলে খবর পান রুপা। বিষয়টি মানতে না পেরে গতকাল রোববার রাতে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আজ দুপুরে মৃত্যু হয় রুপার।
বাবু মোল্লা আরও জানান, রুপার লাশ ফরিদপুর থেকে গোপালগঞ্জে তার বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। তমাল মাহমুদও সঙ্গে গোপালগঞ্জে গেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার বিষয়ে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।