ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মালিহা আক্তারের বক্তব্যে মুগ্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় নানা দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি ভোলা সফরেও তিনি আমন্ত্রণ জানান সরকারপ্রধানকে। পরে প্রধানমন্ত্রী তাকে মনযোগ দিয়ে পড়ালেখা করার পরামর্শ দেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ভোলার গ্যাসভিত্তিক ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এ সময় সেখান ভোলা থেকে যুক্ত হন মালিহা।
বর্তমান সরকারের আমলে ভোলায় বিদ্যুতায়নসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে এই কিশোরী বলেন, ‘আপনি ভোলারও অনেক উন্নয়ন করেছেন। যার কারণে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি এবং আমরা অনেক আনন্দিত। কিন্তু আমরা ভোলাবাসী বাংলাদেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মিত হলে আমাদের সকলের প্রত্যাশা পূরণ হবে। আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বেই আমাদের এই প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে মনে করি।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কবিতার দুটি লাইনও আবৃত্তি করেন মালিহা। বলেন, ‘হে বীর কন্যা শেখ হাসিনা/ দেখেছি তোমায় রাজ্য পরিচালনা অপূর্ব এক ধরণ/ অন্যায়কে করেছ পরিহার সত্যকে করেছ বরণ।’
এর ফাঁকে শেখ হাসিনাকে তার এলাকায় আমন্ত্রণ জানাতেও ভুলেননি এই কিশোরী।
মালিহার কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুগ্ধ হয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান। ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভোলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরেন। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সাথে যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, সিভিল সার্জন রথীন্দ্র নাথ মজুমদার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেনসহ সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় পৌর মেয়র ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।