রোববার কুমিল্লায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই দিন দুপুরে বুড়িচং থানাধীন দেবপুর পুলিশ ফাড়ির এস আই মো: জালাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ প্রেরন করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুড়িচং উপজেলা সদর ইউনিয়নের বিজয়পাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের বাহরাইন প্রবাসী পুত্র মো: সুমন মিয়া (২৭) এর সঙ্গে একই উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কিং বাজেহুরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবু তাহের এর মেয়ে জোনাকী আক্তারের গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখ মোবাইল ফোনে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়।
কিন্তু রোববার দুপুরে ওই নববধূ জোনাকী আক্তারের পিত্রালয়ে ঘরের সিলিং এর সঙ্গে গলায় ওড়না পেছানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নববধূর এই মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য এর জাল ঘুরপাক খাচ্ছে। দেড় মাস পূর্বে মোবাইলে বিয়ে হাতের মেহেদীর রং মোছার পূর্বে নববধূর মৃত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় রহস্য জনক হয়ে উঠছে।
বিয়ের পর নববধূ জোনাকি আক্তার স্বামীর মুখ এবং তার বাড়িতেও তার যাওয়া হলো না। এদিকে স্থানীয় সূত্র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, নিহত জোনাকির লাশ সিলিং এর সঙ্গে ঝুলন্ত থাকলেও ঘরের মেঝের সঙ্গে তার হাটু গাড়া ছিল।
এই নিয়ে লোকজনের মাঝে এই মৃত্যকে ঘিরে রহস্য ঘুরপাক খাচ্ছে। জোনাকির আক্তারের মা রেহানা আক্তার জানান, রোববার সকাল ১০টায় তিনি শারীরিক সমস্যার কারনে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখানোর জন্য যান।
ডাক্তার দেখিয়ে দুপুর ১টায় তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা জানালা ভিতর থেকে বন্ধ। তিনি চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন এবং দেখেন জোনাকির মৃত দেহ ঝুলছে।
বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাড়িকে খবর দিলে এস আই মো: জালাল উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় রহস্যজনক ভাবে মৃত জোনাকি আক্তারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।
এই ব্যাপারে দেবপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আবু ইউসুফ ফসিউজ্জামান বলেন, গৃহবধুর লাশ তার পিত্রালয়ে ঘরের সিলিং এর সঙ্গে গলায় ওড়নায় পেছানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যের মামলা প্রক্রিয়াধীন। ময়নাতদন্তের রির্পোট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।