মিরসরাইয়ে স্বামীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের নাম সনাতন মজুদার (৩৫)।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি থেকে সনাতন মজুমদারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লাকী মজুমদারকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকার মেয়ে লাকীর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইকেল মিস্ত্রী সনাতনের। তাদের ঘরে জয়শ্রী মজুমদার শান্তা (১০) ও অপূর্ব মজুমদার (৮) নামে দুটি সন্তান জন্ম হয়।
দুই বছর আগে হঠাৎ স্বামী-সন্তান রেখে পরকীয়ার টানে এক ব্যক্তির হাত ধরে টেকনাফে চলে যায় লাকি। লাকি চলে যাওয়ার এক বছর পর সনাতন প্রিয়াংকা নামে একজনকে বিয়ে করেন।
কিছুদিন যেতে না যেতে হঠাৎ একদিন এসে হাজির হন লাকি। তখন থেকে প্রিয়াংকা ও লাকির মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। একপর্যায়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। প্রতিদিন ঝগড়া, হাতাহাতি, মারামারি লেগেই থাকতো। গতকাল সোমবার রাতে স্বামীকে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন প্রথম স্ত্রী লাকি।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুজয় কুমার জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হতাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার প্রথম স্ত্রী লাকি মজুমদারকে আটক করা হয়েছে।