নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের হাতিয়াড়া গ্রামের ২২ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী এক কুমারী মা হয়েছেন। বুধবার নড়াইল সদর হাসপাতালে কুমারী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। ওইদিন সকাল ৯টায় ওই গ্রামের জনৈক নারী সদর হাসপাতালে কুমারী মাতাকে ভর্তি করে রেখে চলে যান।
এ খবর শোনার পর বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ওই কুমারী মা ও নবজাতককে দেখতে হাসপাতালে যান নড়াইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনজুমান আরা ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন।
নবজাতক কন্যাসন্তানকে নিয়ে কুমারী মাতা (পাগলী) বর্তমান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ওই সন্তানের বাবা কে? তা এখনও জানা যায়নি! নড়াইলবাসীর দাবি এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কুমারী মাতাকে (পাগলী) হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে তিনি প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। চিকিৎসা শুরু করার কিছু সময়ের মধ্যে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম (নরমাল ডেলিভারি) হয়। শিশুটি দেখতে বেশ সুশ্রী হয়েছে। শিশু এবং শিশুর মা উভয়ই সুস্থ ও ভালো আছে।
সরেজমিনে জানা যায়, কুমারী মাতার মামাবাড়ি নড়াইলের সীমান্তবর্তী এলাকা শেখহাটি ইউনিয়নে। সে যখন ছোট তখন তার মা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তখন থেকেই সে তার মামার বাড়িতে থাকত। তার বয়স যখন ১০-১২ বছর তখন এলাকার মানুষ জানতে পারে তার মস্তিষ্কে গোণ্ডগোল আছে।
ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের বাড়ি-বাড়ি, রাস্তাঘাটে, বাজারে ও এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতেন এবং রাতযাপন করতেন। এলাকার মানুষ তাকে খাবার দিলে খেতেন। এভাবেই তিনি ২২ বছরে পা দিয়েছেন।
কুমারী মাতার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে নবজাতক শিশু এবং তাকে দেখতে হাসপাতালে যান জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন। তারা ওই নারী ও নবজাতকের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
তারা জানান, ওই নবজাতকের পিতা কে? সে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘ওই এলাকার মানুষ কুমারী মাতাকে পাগলী নামে চেনে। এলাকার বখাটে যুবকরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’