ফুটফুটে এক শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে পানির ড্রামে। প্রতিবেশীদের ধারণা তার বাবাই শিশুটিকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
নিহত শিশুটির নাম কারিমা। বয়স মাত্র ১৪ মাস। সে ঈশ্বরদী বিএড কলেজের অধ্যক্ষ মো. কাদেরুজ্জামানের (৩৫) মেয়ে।
এদিকে শিশুটির বাবা কাদেরুজ্জামান শনিবার রাত পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ সংলগ্ন বিএড কলেজের একটি পানির ড্রাম থেকে কারিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া না গেলেও তার বাবাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
ঘটনা সম্পর্কে কারিমার মায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শিশুটিকে তার বাবা গলা টিপে হত্যা করেছে। পরে সে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন হাসপাতালে ভর্তি।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ৯টায় ঈশ্বরদী শেরশাহ রোডের কাঁঠালতলার ভাড়া বাসা থেকে কাদেরুজ্জামান মেয়ে কারিমা খাতুনকে নিয়ে বিএড কলেজে আসেন। সেখানেই দুপুর ১২টার দিকে পানির ড্রামে কারিমার মরদেহ পাওয়া যায়। কাদেরুজ্জামান নিজেও সেখানে বিষপান করে অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন। তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, কারিমার মরদেহের কাছে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তবে এ চিরকুটে কী লেখা ছিল তা জানা যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, শিশুটিকে কে এবং কেন হত্যা করেছে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কাদেরুজ্জামান বিষপান করে অচেতন অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ হয়নি।