সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল গ্রামের আব্দুল হামিদের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে হুসনেয়ারা খাতুন বিয়ের দাবিতে অনশন করছিল নিকটবর্তী ছোট পওতা গ্রামের প্রভাশালী হাসান আলীর ছেলে মাসুদ রানার বাড়িতে।
এদিকে, অনশনের চার দিন পর ইউএনও এসএম ফেরদৌস ইসলাম ও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) অনশনরত কলেজ ছাত্রীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওই দিন রাতেই কলেজ ছাত্রী কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা আব্দুল মাজিদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সারে ১২টার দিকে মেয়েটির স্বজনরা তাকে শয্যাশায়ী করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পেটে নল ঢুকিয়ে কীটনাশক বের করা হয়েছে। এখন তার চিকিৎসা চলছে। তবে ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত শঙ্কা মুক্ত বলা যাচ্ছে না।
হুসনেয়ারা জানান, মাসুদের সাথে তার দীর্ঘ ৬ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এরই মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাসুদ তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত সোমবার সে মাসুদের বিয়ের খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে। অনশনের চার দিন পর ইউএনও এবং ওসি তাদের কাছ থেকে কৌশলে মুচলেকায় স্বাক্ষর নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
হুসনেয়ারা আরও জানান, সমাধানের জন্য ডেকে তাকে শূন্য হাতে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হবে। কারণ, তার কাছে মাসুদকে ভালবাসার কোন প্রমাণ নেই। একবার প্রাণে বেঁচে গেছে তো কি হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ফিরে আবারও অনশন শুরু করবেন। হয় তিনি মাসুদের বউ হবেন নয়তো ওর বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন।
বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন জানান, তিনিও ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছিল। ছেলের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে সরিয়ে দেয়ার কারণে হয়তবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফেরদৌস ইসলাম জানান, শনিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে দুইপক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।