পরকীয়া যা কিনা একটি সামাজিক ব্যাধি। বর্তমান সমাজে এর প্রকোপ খুবই ভয়াবহ। যা দিনে দিনে বেরেই চলেছে এবং সমাজের অবক্ষয়ও সাধন হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সমাজে ঘটছে অসংখ্য জানা অজানা ঘটনা। বিশেষ করে প্রবাসীর স্ত্রীরাই বেশি জরিয়ে পড়ছে অনৈতিক এই কাজে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদী দক্ষিণ বাজারের কবিরাজ হোসেন মিয়ার ছেলে ১৪ বছরের তরুন হাসান।ভালোবাসে প্রতিবেশী দিনমজুর সফর আলীর ২২ বছরের মেয়ে খাদিজা বেগমকে। খাদিজার বাবা মনের বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর সাথে বিয়ে দেয় গত ২ বছর আগে। কিন্তু, বিয়ের পরও তাদের প্রেম-ভালোবাসার কোন ঘাটতি ছিলো না। একে অন্যকে ভালবাসতো।
সম্প্রতি খাদিজা-হাসানের আগের তোলা প্রেমের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয় গোটা উপজেলায়।তখন বাধ্য হয়ে খাদিজার বাবা থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ আসে।এলাকাবাসীর অনুরোধে হাসানকে শর্ত দিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। শেষে গত বুধবার তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে খাদিজার আগের স্বামীকে সে ডিভোর্স দেয়।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা সূত্র জানায়, ‘খাদিজার পিতা সফর আলী লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তাকে উত্তক্তের অভিযোগে গ্রেফতার করতে গেলে, পরে এলাকাবাসী তাদের মধ্যে সমঝোতার অনুরোধে ছেড়ে দেই।
গত ১৮ জুলাই তাদের বিয়ের পর, মুঠোফোনে অসম বয়সী দম্পত্তি জানায়, এলাকাবাসী আমাদের নতুন জীবনের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেনো সুখী হই।