তিন বছর পরকিয়ার পর বিয়েতে রাজী না হওয়ায় অবশেষে ধর্ষনের চেষ্টা মামলা

প্রায় তিন পরকিয়ার পর প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অবশেষে ধর্ষনের চেষ্টা মামলা দিয়ে জেলা হাজতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বললে এমনই তথ্য উঠে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীও প্রতিবেশীরা জানান ঘটনারএক সপ্তাহের পূর্বে হাজেরার স্বামীও চার সন্তান রেখে গোপনে প্রেমিক ফরিদের হাত ধরে চলে যায় অজানার উদ্দেশ্যে।পালিয়ে গিয়ে প্রেমিক ফরিদকে নিয়ে তিন দিন অবস্থান করে সিলেটে। তিনদিন পর বাড়ীতে ফিরলে হাজেরাকে উঠতে দেয় না বাড়ীর লোকজন। নিরুপায় হয়ে ওইদিনই চলে যায় নিজ পিত্রালয় দাঁতমন্ডলে।সেখানে গিয়ে নতুন ফন্দি আটে হাজেরা । ফোন করে প্রেমিক ফরিদকে যেতে বলে তার বাবার বাড়ী দাঁতমন্ডলে।প্রেমিকার ফোন পেয়ে ফরিদও চলে যায় সেখানে। তখনই ঘটে অন্যরকম বিপত্তি।তখন প্রেমিক ফরিদকে ঘরে আটকে রেখে মারপিট করে খবর দেয় থানা পুলিশকে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর গ্রামে। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্বামী মোঃ সাজাহান মিয়া বাদী হয়ে ১৭ জুলাই নাসিরনগর থানার মামলা নং-২০, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী-২০০৩ এর ৯ (৪) (খ) ৩০ ধারা মামলা দায়ের করে। থানা পুলিশ, প্রত্যক্ষ দর্শী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে বুড়িশ্বর গ্রামের মৃত সানু মিয়ার পুত্র সাজাহান মিয়ার সাথে দাঁতমন্ডল গ্রামের হাজেরার প্রায় ১৬ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের গর্ভে ১টি ছেলে ও ৩টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। পেটের দায়ে সাজাহান মিয়া ঢাকা থেকে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য করে। মাঝে মাঝে বাড়ীতে আসে। আসামী প্রতিবেশী মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৫) একজন লম্পট, নারী লোভী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। ফরিদ মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর স্ত্রী হাজেরা বেগমকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। হাজেরা কু-প্রস্তাবে রাজী না হলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় ফরিদ। ঘটনার ১ সপ্তাহ পূর্বেও হাজেরাকে কু-প্রস্তাব দেয় ফরিদ। ফরিদের ভয়ে হাজেরা বেগম তার পিত্রালয় দাঁতমন্ডলে চলে যায়। সেখানে গিয়েও রক্ষা পায়নি হাজেরা বেগম (৩৪)। ১৫ জুলাই রাত অনুমান ৯ ঘটিকার সময় ফরিদ মিয়া হাজেরার পিত্রালয়ে গিয়ে ঘুমের ঘরে সুকৌশলে প্রবেশ করে হাজেরাকে ঝাপটে ধরে কাপড় চোপড় খুলে বিবস্ত্র করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় হাজেরার চিৎকারে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে আসামী ফরিদকে হাতেনাতে ধরে ঘরের ভিতর আটক রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসামী ফরিদকে উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে। নাসিরনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবু জাফর মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।