কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ছয় স্কুলছাত্রের মধ্যে একজনকে জীবিতসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
শনিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নদী থেকে আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে আমিনুল হোসাইন এম সাদ (১৫) ও মেহরাব হোসেন (১৩) এবং আরেক শিক্ষার্থী ফারহানের তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে রাত ১১ টার দিকে প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্যের ছেলে তূর্য ভট্টাচার্যের মরদেহ উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর চকরিয়া গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে সায়ীদ জাওয়াদ অর্বির মরদেহও উদ্ধার করা হয়। নিহত সবাই চকরিয়া পৌর এলাকার গ্রামার স্কুলের ছাত্র।
উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ গুলো হলো- তূর্য ভট্টাচার্য, ফারহান, সোহরাব হোসেন, মেহরাব হোসেন এবং আমিনুল হোসাইন এম সাদ।
চকরিয়া গ্রামার স্কুলের শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম বলেন, স্কুলের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞান বিভাগের ২২ জন ও অষ্টম শ্রেণির একছাত্র মাতামুহুরী ব্রিজ সংলগ্ন নদীর চরে ফুটবল খেলতে যায়। খেলা শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে চোরাবালিতে আটকে ডুবে যায় ছয়জন স্কুলছাত্র।
এ সময় নদীতে থাকা এক মাঝি স্কুলছাত্র মারুফুল ইসলাম জামিকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অপর নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ও স্থানীয়রা মিলে ৫ জনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারে অভিযান চালান। সন্ধ্যা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহই উদ্ধার করা হয়েছে।