মাঝরাতে স্কুলছাত্রীর ঘরে এস.আই অতঃপর…

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি এএসআই শিবু হালদারের বিরুদ্ধে। পুলিশ ক্যাম্প পার্শ্ববর্তী মহিষগাড়ি গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কেরও অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, আগে থেকেই ওই ছাত্রীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন টুআইসি এএসআই শিবু হালদার। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দীর্ঘদিন এ ঘটনা চলার এক পর্যায়ে গত ৯ জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামের কিছু যুবক ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে শিবু হালদারকে ধরে ফেলে।

তাকে মারধর শুরু করলে এক পর্যায়ে অস্ত্র উচিয়ে বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হন তিনি। শিবু হালদার ও কনস্টেবল বেলায়েত সাদা পোশাকে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। বেশির ভাগ সময় শিবু হালদার নির্ধারিত সরকারি পোষাক না পরে সাদা পোশাকে এলাকায় অবস্থান করেন বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্প পুলিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনা সম্পর্কে কেউ কিছু বললে তাদের হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন। পুলিশের নারী কেলেঙ্কারীর এ ঘটনা মহিষগাড়ি, মাইলমারি, শেখপাড়া, রামচন্দ্রপুরসহ কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরছে। তারা এর তদন্ত সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই কিশোরী সহ তাদের পরিবার গ্রাম ছাড়া হয়েছে। তাদের বাড়িতে কাউকে দেখা যায়নি। ঘটনার পর থেকে পরিবারটি গ্রাম ছাড়া। ৩ লাখ টাকায় ঘটনা মিমাংসার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে। রামচন্দ্রপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. রিয়াজ হোসেন মেয়ের পরিবারকে দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মধ্যরাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যাওয়া ও ঘটনা প্রসঙ্গে এএসআই শিবু হালদার বলেন, মেয়েটির মা একটি গাছ বিক্রি করবে। পূর্ব পরিচিতির সম্পর্ক ধরে তাদের বাড়িতে মধ্যরাতে নয় সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম । তারপর একটি মিথ্যা ঘটনা কেউ কেউ সাজিয়েছে বলে আমি শুনেছি।

আর রামচন্দ্রপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, পার্শ্ববর্তী উপজেলা হরিণাকুণ্ডুর একটি মহল আগের একটি আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে শিবু হালদারের ওপর অসন্তোষ ছিল। তাদের মাধ্যমে কিছু রটিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এএসআই শিবু হালদারের কোন ত্রুটি বা দোষ খুঁজে পাইনি ।

শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আইয়ুবুর রহমান জানান, আমি মঙ্গলবার শৈলকুপা থানায় যোগদান করেছি। এমন কোন ঘটনা জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।