১৯৭২ সালের পতাকা আইন লঙ্ঘণ করে যত্রতত্র বিদেশি পতাকা উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনর নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া পতাকা আইন ও রুলস অনুযায়ী জাতীয় পতাকা ও বিদেশি পতাকা উত্তোলনের নিয়মাবলী জনস্বার্থে প্রচার করার জন্য কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিবসহ চারজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাকির হোসেন রিপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মনজুরুল হকসহ ১৩ জন এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৮ চলাকালে দেশে বিদেশি পতাকার অননুমোদিত ব্যবহার বন্ধে রিটটি দায়ের করা হয়েছিল। বিশ্বকাপে প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে ওই দেশের পতাকা উত্তোলন করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, একই খুঁটিতে বিদেশি পতাকার উপরে আমাদের ছোট একটি জাতীয় পতাকা উড়ানো হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম হলো আমাদের দেশের সাথে বিদেশি পতাকা উড়ানো হবে। তখন দুইটি আলাদা খুঁটিতে উড়াতে হবে, পতাকার সাইজটা একই সমান হতে হবে এবং বাংলাদেশের পতাকা ডানদিকে হতে হবে। পতাকা উড়ানোর এই নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমাণা অথবা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে পতাকা আইনে। এছাড়া কোনো বিদেশী পতাকা উড়ানোর আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এই বিষয়ে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই যে কার কাছ অথবা সরকারের কোন বিভাগ থেকে এই অনুমতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা ও বিদেশি পতাকা কিভাবে উড়াতে হবে সে বিষয়ে যদি সরকার জনসচেতনা তৈরি করে তাহলে পতাকা উড়ানোর নিয়ম ভঙ্গ কমে যাবে। বিদেশী পতাকা উড়ানোর জন্য সরকারের কোন বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হবে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলে বিদেশী পতাকা উড়ানো নিয়েও নিয়ম ভঙ্গ কমে আসবে। এতে আমাদের জাতীয় পতাকার যে সম্মানহানী হচ্ছে সেটাও কমে আসবে। নিয়ম ভঙ্গ করে পতাকা উড়ানো যে দণ্ডনীয় অপরাধ এটা বন্ধ হবে।