গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মাহফুজা খানম (২০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যৌতুকের দাবিতে তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে নিহত গৃহবধূর পিতা জুলফিকার শেখ অভিযোগ করেছেন।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় কোটালীপাড়া উপজেলার বর্ষাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে আজ সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য তা গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত স্বামী শাহিন ফকির ও তার পরিবার ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আর এরই মধ্যে রাতে শাহিন ফকিরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন-এমন অভিযোগ শাহিন ফকিরের পরিবারের।
কোটালীপাড়া উপজেলার লোহারংক গ্রামের বাসিন্দা ও নিহত মাহফুজা খানমের পিতা জুলফিকার শেখ সাংবাদিকদেরকে বলেন, তিন বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয় একই উপজেলার বর্ষাপাড়া গ্রামের বেলাল ফকিরের ছেলে শাহিন ফকিরের। তাদের দেড় বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রযেছে।
কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। কিছুদিন আগে আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে মাহফুজাকে। টাকা এনে দিতে না পারায় আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের আঁড়ায় ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়।
এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লাশ নামিয়ে ফেলা হয়েছিল। লাশের চেহারা দেখে আমাদের সন্দেহ হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য তা গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা- তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এ ঘটনার পর রাতে কে বা করা অভিযুক্ত স্বামীর বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল ঘটনা জানা যাবে। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি।