গত দেড় বছর আগে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের আ. হাই মল্লিকের ছেলে মিলন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ অধ্যয়নরত অবস্থায় আমার সঙ্গে পরিচয় হয়। এই পরিচয় থেকেই ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে মিলন। ইতিমধ্যে আমার বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে আমি মিলনকে বিয়ের কথা বললে সে আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে।
একপর্যায়ে বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল ও ব্লেড নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা সুমিকা ধরনা দিয়ে পড়ে ছিলেন দুই দিন। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের আ. হাই মল্লিকের বাড়িতে তার ছেলে প্রেমিক মিলনের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করেন কলেজছাত্রী সুমিকা। পরে মঙ্গলবার রাতে মিলনের বাড়িতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় দুই লাখ টাকা।
ইতিমধ্যে সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তফা মনোয়ার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মো. মনজুর হোসেন এবং মধুখালী থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে। পরে ওইসব কর্মকর্তার উদ্যোগে উভয় পরিবারের মধ্যে বিয়ের বিষয়ে সমঝোতা হয়।
কলেজছাত্রী সুমিকা কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে। তিনি ভেড়ামাড়া সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মিলন বর্তমানে ইসলামী আল আরাফা ব্যাংকে কামারখালী শাখায় চাকরি করছে।