মেহেদী হাসান মিলন:চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি গ্রামের নাম বাঘাডাঙ্গা।এই গ্রামটিতে খ্রীষ্টান, মুসলিম মিলেমিশে সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করে।কে মুসলিম কে খ্রীষ্টান তা দূর থেকে বুঝতে পারেনা কেউই।এই খ্রীষ্টান পাড়ার শেষ মাথায় বটগাছের কাছে সরকারী খাস জমিতে আজ দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর যাবত ধরে বসবাস করে আসছে মৃত মকসেদের স্ত্রী হামেদা খাতুন (৮০), তার বিধবা দুই কন্যা টেবি খাতুন (৫৫) ও আরেক তালাকপ্রাপ্ত কন্যা জাহানারা খাতুন মরি(৪৫)।কোন রকমে মাটির একটি খুপড়ি ঘর করে উপরে টিন ফেলে আজ দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে।টিনের চাল সব ফুটো হয়ে গেছে। বর্ষার পানিতে টিনের ফুটো দিয়ে ঘরের ভিতর পানি প্রবেশ করে।সারারাত না ঘুমিয়ে দাড়িয়ে রাত পার করেন মা সহ তার দুই মেয়ে।বাড়িতে উপার্জন ক্ষম কোন পুরুষ মানুষ নেই।জাহানার খাতুন মরি অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় বছরে ৮০ দিন কাজ করে বলে জানান মরি খাতুন।হামেদা ও টেবি খাতুন বিধবা ভাতা কার্ড সুবিধাভোগী।এই দিয়েই কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে পরের কাছে হাত পেতে চলে তিনজনের সংসার।এই সংসারে রয়েছে টেবির একটি নাতনী যে ছোট থেকেই এখানে রয়েছে। তার নাম ববিতা খাতুন। সে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে অর্থভাবে আর পড়াশোনা করতে পারেনি।সে এখন দর্জির কাজ করে সামান্য কিছু আয় করে।এই ছোট্ট খুপরি ঘরে ৪ জনের জায়গা না হওয়ায় অনেক সময় পরের বাড়িতে থাকতে হয় তাদের। তাদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় চালের টিনের খুবই বেহাল দশা।সব ফুটো হয়ে ঘরের ভিতর পানি পড়ে।পলিথিন গুজে,হাড়ি পাতিল রেখে ঘরটাকে রক্ষার শেষ চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হয় অসহায় এ পরিবারটি।অসহায় এ তিন বিধবার দাবী আমাদের শুধু থাকার মত যাতে খেয়ে না খেয়ে অন্তত রাতে একটু মাথা গোঁজার মত একটি ঘর থাকে সেই ব্যাবস্থা করা হোক। অসহায় এ পরিবারটির মাথা গোঁজার ঠাঁই এর জন্য একটি ঘরের ব্যাবস্থা করার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার সহ সচেতন মহল।
- প্রচ্ছদ
- »
- গ্রাম বাংলা
- »
- কার্পাসডাঙ্গা বাঘাডাঙ্গার তিন বিধবার অসহায় জীবন যাপন:মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুর ব্যাবস্থার দাবী