শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় স্ত্রী ইভা আক্তারকে (২০) বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী দেলোয়ার ছৈয়াল (৩৫) বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে উপজেলার চাকধ গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
নিহত ইভা আক্তার উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখের মেয়ে। অভিযুক্ত দেলোয়ার ছৈয়াল ভুমখাড়া ইউনিয়নের চাকধ গ্রামের আব্দুল জাব্বার ছৈয়ালের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিহত ইভা চাকধ এলাকায় নানী আনোয়ারা বেগমের কাছে থাকত। ৬ মাস আগে চাকধ গ্রামের দেলোয়ার ছৈয়ালের সঙ্গে পুনরায় বিয়ে হয়। কিন্তু সাংসারিক জীবনে দেলোয়ারের সঙ্গে সুখি ছিল না ইভা। সোমবার রাত ৯টার দিকে ইভাকে পার্শবর্তী একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ছাদে ডেকে নেয় স্বামী দেলোয়ার। তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে মরদেহ বিল্ডিংয়ের সেফটি ট্যাংক এ লুকিয়ে রেখেছে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও পুলিশ সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত ইভার নানী আনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা নাতনি হত্যাকারী দেলোয়ারের ফাঁসি চাই।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক দেলোয়ার পালাতক তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেলোয়ারের মা সায়েরা বেগমকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।