শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় মুখর গাজীপুর সিটি এলাকা। জয়-পরাজয়ের উত্তেজনা বিরাজ করছে গাজীপুরজুড়েই। নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। সংসদের আগে এ নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দলীয় মেয়র প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দুই দল। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। বসে নেই দলীয় কর্মী-সমর্থকরা, রাত-দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা-ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারদের মধ্যেও উৎসবের কমতি নেই, তারাও মঙ্গলবার ভোট উৎসব পালনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের মধ্যে। এ ছাড়া ভোটের মাঠে রয়েছেন দলীয়-স্বতন্ত্র মিলে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী। তবে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবে এই প্রত্যাশা সবার। গতকাল দিনভর প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পথসভা-গণসংযোগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তারা। এদিকে আজ মধ্য রাতে শেষ হচ্ছে (ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে) সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। সেইসঙ্গে আজ মাঠে নামছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের আগের দুই দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দিন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবেন তারা।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, আজ রবিবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে আমরা নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ করেছি এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে। ভোটকেন্দ্রে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তাদেরও কেন্দ্রভিত্তিক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। বিজিবির সদস্যরাও শহরে অবস্থান করছেন। নির্বাচনের অন্যান্য প্রক্রিয়াও প্রায় সমাপ্তির পথে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি আরও জানান, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন করে মোট ৪২৫ জন পুলিশ ইনচার্জ থাকবে। ৩৩৭টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দে র প্রত্যেকটিতে ২৪ জন করে এবং ৮৮টি কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দে র প্রত্যেকটিতে ২২ জন করে আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ১৯টি সংরক্ষিত আসনের প্রতিটিতে মোবাইল টিম থাকবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি করে এবং একটিসহ মোট ৫৮টি বিজিবির টিম থাকবে এবং র্যাব সদস্যদের ২০টি টিম থাকবে। কেউ যাতে অনিয়ম করতে না পারে সে ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা করেন। যে ৬টি ভোটকেন্দে ইভিএম ব্যবহার করা হবে সেসব কেন্দে জন সচেতনতার কাজ চলছে।
চার দিনের নিরাপত্তা বলয়ে গাজীপুর : নির্বাচনের আগে-পরে চার দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে থাকবে গাজীপুর সিটি এলাকা। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রে ১০ হাজার পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া ৫৭ ওয়ার্ডে র্যাবের ৫৭টি দল সক্রিয় থাকার পাশাপাশি রিজার্ভ থাকবে আরও একটি। প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি হিসেবে ৫৭টি থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া প্রতি তিনটি ওয়ার্ড মিলে একজন হিসেবে মোট ১৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে এবার মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন।
কার্ড নিতে ১৩ তথ্য দিতে হচ্ছে স্থানীয় সাংবাদিকদের : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে স্থানীয় সাংবাদিকদের কার্ড সরবরাহে ১৩টি তথ্য দিতে হচ্ছে রিটার্নিং অফিসারকে। এ জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের। স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আবেদনের ১৩টি তথ্যের মধ্যে রয়েছে— নাম, এনআইডি নম্বর, বর্তমান ও স্থানীয় ঠিকানা, জন্ম তারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মোবাইল/টেলিফোন নম্বর, গণমাধ্যমের নাম, পদবি, খণ্ডকালীন/মূল পেশা, রাজনৈতিক দল বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে মুদ্রিত কপি ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে সিডি সংযুক্ত করা হয়েছে কিনা। ফরম পূরণের পর আবেদনকারীর ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ও সাংবাদিকের পরিচয়পত্র সম্পাদক কর্তৃক সত্যায়িত করে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের মিডিয়া সেলের সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যেন সাংবাদিক পরিচয়ে অন্য কেউ কার্ড নিতে না পারে এবং গণমাধ্যমের নাম ভাঙিয়ে যেন কেউ সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৬ জুন গাজীপুর সিটি নির্বাচন সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে সাংবাদিক কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে।
শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রার্থীরা : পরশু ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আজ রবিবার প্রচারণার শেষ দিন। গতকাল সকাল থেকেই বৃষ্টিতে নির্বাচনী প্রচারণা ব্যাহত হয় প্রার্থীদের। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে পুরোদমে মাঠ দখলের লড়াইয়ে নামে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রচারণা : আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম গতকাল সকালে নিজ বাসভবনে ওলামা লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে নগরীর খরতৈল এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। পরে সাতাইশ স্কুলের সামনে, সাতাইশ চৌরাস্তা, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের মুদাফা, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেওড়া ফকির মার্কেট, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলগেট এলাকায় পথসভায় ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটির (স্থগিত নির্বাচন) আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম তার সঙ্গে ছিলেন। সেই সঙ্গে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পথসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমালোচনাও করেন। হাসান উদ্দিন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, গাজীপুরের লাখ লাখ মানুষকে আপনি কষ্ট না দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিকভাবে আপনি চারজনের ওপর ভর করে চলাচল করেন। সিটি করপোরেশনের ওপর যারা ভর করে চলেন তাদের ভার আপনি কীভাবে বহন করবেন?
বিভিন্ন পথসভায় যানজট নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, সিটির রোডে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে যানজট থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে। সকালে নগরের টঙ্গী জোনে নির্বাচনী পথসভায় জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা বলেন। খরতৈল স্কুলের সামনে পথসভায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা একটি আধুনিক শহর করতে চাই। টঙ্গী গাজীপুরবাসীর কাছে আমি আবদার করছি। আমাদেরকে একবার নৌকায় ভোট দেন। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা সবাই মিলে একটি ক্লিন এবং গ্রিন সিটি উপহার দিতে চাই। একটি বাসযোগ্য শহর করতে চাই।
মিলগেট এলাকায় তিনি বলেন, কোনো কাজই ছোট না। মিলগেটের ব্যবসায়ীদের মতো তিনিও এই কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বংশ পরিচয়ে না, কর্মেই হচ্ছে মানুষের পরিচয়। আগামী ২৬ জুন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। অপরদিকে বিকালে টঙ্গী নোয়াগাঁও এলাকায় সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেলের বাসভবনে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে মহানগর নেতারা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যোগ দেন। সেখানে মহানগর নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক নম্বর এজেন্ট ও মহানগর সভাপতি অ্যাড. মো. আজমত উল্লা খান ব্রিফিং করেন। আজমত উল্লাহ খান বলেন, নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সব নেতা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের প্রার্থী ৫৭ ওয়ার্ডে বারবার ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। আমাদের কর্মীরা কাজ অব্যাহত রেখেছেন। আগামী ২৬ জুন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় জাহাঙ্গীর আলমের বিজয় সুনিশ্চিত করে আমরা ঘরে ফিরব। গাজীপুরবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকার বিজয় উপহার দিতে প্রস্তুত। ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার, সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. ইকবাল হোসেন সবুজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির প্রচারণা : বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার গতকাল সকালে নগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন। পরে তিনি মাজুখান বাজার, নন্দীবাড়ি, বিন্দান, বাদুন, ইছালী, কলেরবাজার ও পূবাইল এলাকায় প্রচারণা চালান।
প্রচারণার সময় হাসান উদ্দিন সরকার ভোটারদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সাহসিকতার সাথে ভোট কেন্দে গিয়ে লাইন ধরে আপনার ভোট দেবেন। আর কর্মীরা মিথ্যা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। গাজীপুরের জনগণ বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে আছে।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘ইসি যখন আমাদেরকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে তখন তাদের কথা বিশ্বাস করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের তো আর কোনো উপায় নেই।’ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আমাদের লিখিত অভিযোগগুলোর প্রমাণাদি আছে। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। তবে নির্বাচনের মাঠে পুলিশ নতুন কৌশল শুরু করেছে। তারা নরসিংদী থেকে পুলিশ আনে, টাঙ্গাইল থেকে আনে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল, নরসিংদী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্বৈরাচারের একটি নতুন কৌশল তারা বের করেছে। তবে এই কৌশলের মোকাবিলা বিএনপি করবে বলেও আমি বিশ্বাস করি। প্রচারণায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ রায়সহ কেন্দ ীয় নেতারা। গতকাল নগরের মাজুখান বাজারে গয়েশ্বর চন্দ রায় সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের শেষ সাক্ষাতে আমরা তাদেরকে বলেছিলাম, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন হলো আপনাদের জন্য শেষ সুযোগ। গাজীপুর সিটি নির্বাচন যদি খুলনার নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেন তবে আপনাদের অধীনে বিএনপি কোনো জাতীয় নির্বাচন তো দূরের কথা অন্য কোনো নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না।’ এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ ীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শিল্পী বেবী নাজনিন, ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা দল কেন্দ কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, ৩১ নং ওয়ার্ডে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান।
ইসলামী ফ্রন্ট বংলাদেশের প্রচারণা : গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। গতকাল তিনি নগরের সালনা জোনের সালনা, পোড়াবাড়ী, কাউলতিয়াসহ জোনটির বিভিন্ন এলাকায় পথসভা শেষে লিফলেট বিতরণ করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।