একটি ১২০০ টাকা মূল্যের থ্রি পিছ ৭১০০ টাকা আর ১৭০০ টাকা মূল্যের জিন্সের প্যান্ট ৩২৫০ টাকা মূল্যমানের ট্যাগ লাগিয়ে বিক্রি হচ্ছে। খবর পেয়ে রোববার শহরের বিভিন্ন বিপনি বিতানগুলোতে সরেজমিনে অভিযানে যান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া। সেখানে গিয়ে এর সত্যতাও পান। পরে আগামী তিন দিনের মধ্যে পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রির নির্দেশ দেন তিনি। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন।
ঈদের সময় আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিরিক্ত মুনাফালোভী প্রবণতা দেখা যায়। গত কয়েক বছরে তাদের এমন কাজ নিয়ে সমালোচনা চলছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করেছেন। কোথাও কোথাও দেখা গেছে ৬/৭ হাজার টাকার লেহেঙ্গা ২৫-৩০ হাজার টাকার ট্যাগ লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এ বছরও এমন প্রবণতা দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। যার ব্যতিক্রম নয় ফরিদপুরের ব্যবসায়ীরাও। জনগণের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে যান জেলা প্রশাসক।
অভিযানে ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড, নকশী কাথা, জনতা স্টোরসহ বেশ কিছু রেডিমেট গার্মেন্টস বিক্রির দোকান ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক। দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ১২০০ টাকা মূল্যের থ্রি পিস ৭১০০শ টাকা, ১৭০০ টাকা মূল্যের জিন্সের প্যান্ট ৩২৫০ টাকা মূল্যমানের ট্যাগ লাগিয়ে বিক্রি হচ্ছে। শুধু থ্রি পিস, প্যান্টই নয় সকল প্রকার পণ্যই নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিন চার গুণ বেশি দামে বিক্রি করতে দেখেন তিনি।
মাত্রাতিরিক্ত মূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক। ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে অতিরিক্ত মূল্যে আদায়ের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন। একই সঙ্গে বিপনীবিতান ও ব্যবসায়ীদের প্রতি মূল্য সংশোধন করে সঠিক মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশ দেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করার আদেশ দেন তিনি। এর ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন।
- ব্রেকিংবিডিনিউজ২৪ / ০৯ জুন ২০১৮ / তানজিল আহমেদ