মা আমাকে সবাই দেখতে আসছে কেন? খুব আদরও করছে। আমার কি হয়েছে মা? বাসায় আত্মীয়-স্বজনের হঠাৎ আনাগোনা দেখে মাকে এরকম প্রশ্নই করছে ঢাকার মাতুয়াইলের রফিকুল ইসলাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আশহাব আবিদ (১৪)। তবে পরিবারের কেউ এখনও তাকে বলেনি ব্রেন টিউমারের সঙ্গে মরণব্যাধি ক্যানসারও বাসা বেঁধেছে তার শরীরে।
দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট আবিদ না জানলেও অনুভব করতে পারছে তার বড় কিছু হয়েছে। তার বিশ্বাস বড় ভাই জায়েদ সঙ্গে থাকলে ভালো হয়ে যাবে সে। যখন মাথা ব্যথা ও বমি শুরু হয় তখনই সব এলোমেলো হয়ে যায় তার। তাছাড়া সদা হাস্যোজ্জল সে।
আবিদের বাবা এম এ কুদ্দুস রাজু কোনাপাড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের কলেজপাড়ায়। কোনাপাড়ায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে যা আয় করেন তা দিয়েই সংসার ও ছেলেদের লেখাপড়া চালাতে হিমশিম খান তিনি। তার উপর হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পরে আবিদ। শিশু আবিদ বর্তমানে ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মইনুল হক সরকার এবং পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কাজী মনজুর কাদেরের অধীনে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবিদ ম্যালিগনেন্ট স্মল রাউন্ড সেল টিউমারে আক্রান্ত। টিউমারটি ক্যানসারে রুপ নিয়ে কপালের হাড় খেয়ে সামনের দিকে বের হয়ে আসছে। তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত মস্তিষ্কে অস্ত্রপচার করতে হবে। ভারতে নেয়ার জন্য বলেছেন চিকিৎসকরা। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকা। তার বাবার পক্ষে এই পরিমাণ টাকা জোগার করা সম্ভব নয়।
তিনি সহায়-সম্পদ বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন আর পেরে উঠছেন না। সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করছেন তিনি। বিত্তবানদের আর্থিক সহায়তা পেলে দ্রুত আবিদের মস্তিষ্কে অস্ত্রপচার করা সম্ভব হবে।
আবিদকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: আবদুল হালিম মোল্যা, ১৪ মিরপুর রোড, নিউমার্কেট, ঢাকা-১২০৫। সঞ্চয়ী হিসাব নং: ২০১.১৫০.৩৪৩২, ঢাকা ব্যাংক, লোকাল অফিস শাখা, মতিঝিল, ঢাকা। মোবাইল : ০১৬১৪-০৯০১৯৭।