বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ১০টি বৃহৎ প্রকল্পকে মেগা প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরে আনা হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলো হলো— পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, চট্টগ্রাম দোহাজারী থেকে রামু কক্সবাজার এবং রামু ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল পাওয়ার প্রকল্প এবং মহেশখালীতে ভাসমান এলএমজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প। এ কাজগুলো তদারকির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল ২০৩০ সালের মধ্যে : আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার হেক্টর জামিতে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সরকারি- বেসরকারি মিলে এ পর্যন্ত ৭৬টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন করেছেন। এসব অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শিল্প স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন। ২৬টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলমান রয়েছে। গতকাল বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো ঘিরে গড়ে উঠবে পরিকল্পিত নগর ও আবাসন, সৃষ্টি হবে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য। আশা করি, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ হলে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় বাড়বে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে প্রায় ১ কোটি মানুষের।
তিনি বলেন, আমরা সরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছি। তবে এ বিনিয়োগের মূল উদ্দেশ্য হলো, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-গ্যাস পানির সংযোগ প্রাপ্তি, বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ, নিষ্কণ্টক জমির প্রাপ্যতা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। এসব সেবা সহজলভ্য করে বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে সম্ভাবনাময় এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় আইন করা হয়।