পরকীয়া তারপর কি ঘটল দেখুন……

বড়াইগ্রামের বাহিমালি গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ের সাথে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় মোতালেব হোসেন শেখ (৫০) নামে এক কৃষককে ঘর থেকে ডেকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক মজনু প্রামাণিকের (৪০) ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম এ দণ্ডাদেশ দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মজনু প্রামাণিক বড়াইগ্রামের কুমরুল গ্রামের মোবারক হোসেন ওরফে কাঁচন প্রামাণিকের ছেলে। রায়ে পরকীয়া প্রেমিকা মেয়ে মর্জিনা বেগম (৩৪) ও অপর আসামি বাহিমালি গ্রামের মরহুম জাহেদ আলী মোল্লার ছেলে আবু রায়হানকে খালাস দেয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি মজনু প্রামাণিক বাহিমালি গ্রামের মোতালেব হোসেনের মেয়ে মর্জিনা বেগমের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বুঝতে পেরে মোতালেব শেখ তাতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল রাত ১টায় মজনু প্রামাণিক ঘুম থেকে ডেকে তুলে ঘরের বাইরে নিয়ে মোতালেবের পেটে ও বুকে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে স্থানীয় কিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ইতালিয়ান পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও তিনটি গুলির খোসা জব্দ করে। এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। পরে সিআইডি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ মজনু, মর্জিনা বেগম ও মজনুর বন্ধু আবু রায়জানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার আদালত একজনের যাবজ্জীবন ও অপর দুইজনকে খালাস প্রদান করেন।

আরো পড়ুন :
চাঁদপুর জেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ও দ্বিতীয় স্ত্রী কারাগারে
চাঁদপুর সংবাদদাতা
চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকার কলেজ অধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা ফেন্সি খুনের ঘটনায় স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেন নিহত ফেন্সির ছোট ভাই ফোরকান উদ্দিন খান। মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- ফেন্সির সতিন জুলেখা বেগম (৩৪), দেবর খাইরুল ইসলাম নয়ন (৪৫) ও ননদ জানু বেগম (৪৮)।

চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ষোলঘর নিজ বাসভবনে মাথায় মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে খুন হন ফেন্সি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে আটক করেন। এরপর রাতেই শহরের নাজির পাড়া থেকে দ্বিতীয় আসামি জুলেখা বেগমকে আটক করে চাঁদপুরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক মহিউদ্দিন জানান, আটক প্রধান আসামি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি দুই আসামিকেও গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিহত শাহিনা সুলতানা ফেন্সির তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।