বর্ষা আসতে না আসতেই যমুনার পানি বাড়তে থাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নে। ইতোমধ্যেই বেশকিছু বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আতংকে আছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। তবে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। খবর সময় টিভির।
যমুনার ভাঙনে ফসলি জমি ও বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন ভুঞাপুর উপজেলার অর্জুনা এলাকার বাছিরন বেগম। তার চোখে মুখে এখন শুধুই অনিশ্চয়তার ছাপ। হয়তো দু’দিন বাদেই রান্নার উঁচু জায়গাটুকুও বিলীন হয়ে যাবে নদীগর্ভে।
শুধু বাছিরন বেগমই নয় তার মতো নদী ভাঙনে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন উপজেলার প্রায় ৩ শ’ পরিবার। বর্ষার শুরুতেই ব্যাপক ভাঙন শুরু হওয়ায় আতংক দেখা দিয়েছে যমুনা পাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে।
এ অবস্থায় ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভুঞাপুরের অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী মোল্লা বলেন, ‘যদি প্রশাসন এটার জন্য পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই চরের মানুষের বসতির অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে।’
ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলার পাশাপাশি স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চলছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ নুরুল আমিন।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, এখানে স্থায়ীভাবে বাধ তৈরি করা যায় কিনা।’
গত এক মাসে ইউনিয়ন দুটিতে বিলীন হয়েছে অন্তত ১শ’ একর ফসলি জমি। এছাড়া নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে আরো ৮টি গ্রামে।