জলঢাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের প্রায় ১ মাস পরেও সরানো হয়নি রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকা গাছগুলো। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। গত ১০ মে রাতে জলঢাকা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এতে কয়েক হাজার ঘরবাড়িসহ নষ্ট হয় ভুট্টা ও ধান ক্ষেত। ব্যাপক ক্ষতি হয় গাছপালার। এর মধ্যে উপজেলার মেইন রাস্তাগুলোতে জেলা পরিষদের অনেক পুরনো প্রায় ১০টি বড় বড় গাছ পড়ে যায়। সেই গাছগুলো ঝড়ের ১ মাস পরেও সরানো হয়নি রাস্তার মাঝখান থেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ছোলেমানের চৌপতি থেকে টেংগনমারি বাজার রংপুর যাওয়া রাস্তাটির গোলনা বাবু বাজার এলাকায় রাস্তার মাঝখানে এখনো পড়ে আছে দুইটি বিশাল আকারের বটগাছ। এ কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এ ব্যাপারে ভূট্টা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ব্যবসার সিজন রাস্তাটি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গাড়িভাড়া বেশি যাচ্ছে।
গোলনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আলম কবির বলেন, ঝড়ের পরদিনে আমি লোক দিয়ে ডাল কেটে আংশিক চলাচলের ব্যবস্থা করেছি এবং কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি এখন এটা তাদের বিষয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার বলেন, গাছগুলো সরানোর জন্য আমি অনেক আগেই বলেছি। এখন আবারো জেলা পরিষদকে গাছ সরানোর বিষয়ে চিঠি দিব।
নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিনকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।