পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় বিদ্যুৎ চুরির অপরাধে মো. মিজানুর রহমান (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পল্লী বিদ্যুৎ।
সোমবার উপজেলার কৌড়িখারাধীন পল্লী বিদ্যুৎ শাখার জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ডিজিএম) সাইফুল আহম্মেদ ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ জরিমানা আদায় করেন। এর আগে গত ২ জুন মিজানের বিদ্যুৎ চুরির ঘটনাটি সবার সামনে আসে।
অভিযুক্ত মিজান জেলার নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠী) উপজেলা জগৎপট্টি গ্রামের মো. কালাম মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে মিজান তার নিজ মিটারের সোর্স সংযোগ কেটে এর সাথে থাকা অন্য একটি সংযোগে জুড়িয়ে বিদ্যুৎ চুরি করে চারটি অটো চার্জ দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। একই সঙ্গে চুরিকৃত বিদ্যুৎ দিয়ে নিজের ঘরের ফ্রিজ, আইপিএস, বাতি, ফ্যান ব্যবহার করে আসছিল।
নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পূর্বাঞ্চল শাখার লাইন টেকনিশিয়ান মো. আবুল বাশার জানান, মিজান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চারটি অটো গাড়ী চার্জ, দুইটি পরিবারের ফ্রিজ, আইপিএসসহ বাতি, ফ্যান চালিয়ে আসছিল। তাতে তার ব্যবহার অনুযায়ি আনুমানিক মাসিক বিল হয় বার থেকে তের হাজার টাকা। কিন্তু তার মাসিক বিদ্যুৎ বিল হত নয়শ থেকে সাড়ে নয়শ টাকা। বিষয়টি নিয়ে তারা (অফিসের লোকেরা) ঘাটাঘাটি শুরু করে কোনো সমাধান পাননি। পরে এভাবে মিজান দিনের পর দিন অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যবসা করে যাচ্ছিল। পরে একটি মাধ্যমে মিজানের বিদ্যুৎ চুরির ঘটনাটি জানতে পেরে গত ২রা জুন (শনিবার) রাতে মিজানের বাসায় গিয়ে তাকে হাতে নাতে চুরির বিষয় ধরা হয়। পরে অফিসে নোট দিলে ডি, জিএম মহাদয় তার কাছে জরিমানা করেন।
নেছারাবাদের মিয়ারহাট কৌড়িখারা পল্লী বিদ্যুৎ শাখার জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. সাইফুল আহম্মেদ বলেন, ‘আমারা একজন গ্রাহককে মামলা দিয়ে হয়রানি করব না। মিজান অবৈধভাবে প্রায় বার হাজারেরও বেশি ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছিল। এ জন্য তার কাছে বিদ্যুতের ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিটের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার টাকার মত জরিমানা করা হয়েছে। সে যদি ওই টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করত তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতাম।
আইনের নীতিমালায় বিদ্যুৎ চুরির অপরাধে কী সাজা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যা কিছুই হয়েছে সবই নীতিমালা অনুযায়ি হয়েছে।’