বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার সঙ্গে নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাটের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম দুটি সি-ট্রাক অচল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে উত্তাল মেঘনা পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। এ সব ট্রলারে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী, মাল পরিবহন ও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
হাতিয়ার চর চেঙ্গা থেকে চেয়ারম্যান ঘটে চলাচলকারী এসসি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ নামের সি-ট্রাকটি এক বছর ধরে বিকল। মেরামতের জন্য এটি চট্টগ্রামে ডকইয়ার্ডে নেওয়ার পর থেকে সেখানে পড়ে আছে। এরপর নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাটের মধ্যে চলাচলকারী এসসি শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি নামে অপর সি-ট্রাকে যাত্রী পারাপার চলছিল। গত ১৫ এপ্রিল থেকে সেটিও বন্ধ হয় যায়। নিরূপায় হয়ে ইঞ্চিলচালিত নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পার হচ্ছে দুই পাড়ের লোকজন। ত্রুটিপুর্ণ এ সব নৌযানে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এসসি শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির মাস্টার আফজাল হোসেন জানান, ফিটনেস না থাকায় সি-ট্রাকটি চেয়ারম্যান ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এটি মেরামতের জন্য চট্টগ্রাম পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম জানান, সি-ট্রাক দুটি যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ডকইয়ার্ডে মেরামতের জন্য রয়েছে। এদিকে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে নানা সমস্যায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দখিনের যাত্রীরা। চাহিদার তুলনায় লঞ্চ সার্ভিস কম থাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পিড বোট ও ট্রলারে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন তারা। সি-ট্রাকে ধারণ ক্ষমতার তিন গুণ বেশি যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঠেকাতে দ্রুত এ সব সমস্যার সমাধানে দাবি জানিয়েছের ভুক্তভোগীরা।