লক্ষ্মীপুরে দরিদ্রদের চাল নিয়ে চালবাজি

লক্ষ্মীপুরে ঈদে হত-দরিদ্রদের বরাদ্দকৃত ভিজিএফএর প্রায় ২ মেট্রিক টন চাল নিয়ে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে চালবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদর উপজেলার ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বরাদ্ধকৃত চাল ওজনে কম দিয়ে চাল আত্মসাত করেছেন। আত্মসাতকৃত ৩৭ বস্তাা চাল ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। হত দরিদ্রদের বরাদ্দকৃত চাল আত্বসাতের চেষ্টার প্রতিকার ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বুধবার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেন আবুল বাশার ও মিজানুর রহমান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কুশাখালী ইউনিয়নের ৩৪শ’ হত দরিদ্র মানুষের জন্য ১০ কেজি করে ৩৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, সচিব আবুল কালাম আজাদ ও ট্যাগ অফিসার ওমর ফারুক জন প্রতি ৭ থেকে সাড়ে ৭ কেজি করে চাল বিতরণ করে এবং গ্রাম পুলিশদের জন প্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করে সম্পন্ন করেন কর্মসূচি।

এতে অনিয়ম করে ৩৭ বস্তা চাল গুদামে রেখে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে বৃষ্টি চলা অবস্থায় চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে চাল সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বাঁধা দেন। এসময় তারা মুঠোফোনে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তা গিয়ে ৩৭ বস্তা চাল আটক করেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে ১৫০ জন কার্ড ধারীকে চাল দেয়া যায়নি। সে চাল মঙ্গলবার বিকালে বিতরণের উদ্দ্যোগ নিলে চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষগণ বাঁধা প্রধান করার কারণে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বিকালে অভিযুক্ত ইউনিয়ন সচিব আবুল কালাম আজাদ অফিসে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।

আত্মসাতকৃত চাল আটকের বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাজাহান আলী জানান, নানা সমস্যার কারণে সঠিক সময়ে চাল বিতরণ করতে পারেনি চেয়ারম্যান। তবে চাল আত্মসাত হচ্ছে ঘটনার খবর পেয়ে একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসা হয়েছে চালগুলো। তবে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল এ বিষয়ে বলেন, ঈদের আগেই চাল বিতরণের নিয়ম ছিলো। তবে সঠিক সময়ে কেন চাল বিতরণ করেনি চেয়ারম্যানের কাছে, সে বিষয়ে জবাব চাওয়া হবে।