আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম আরও কমেছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে তেলবীজটির দর। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, এবার বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিনের কেমন ফলন হবে, সেই পূর্বাভাসের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আপাতত এ খাতে বিনিয়োগে সতর্ক রয়েছেন তারা। এতে চাপে পড়েছে ভোজ্যতেল, সাবান, শ্যাম্পু, গ্লিসারিন ও লুব্রিকেন্টস জাতীয় পণ্য তৈরির মূল উপাদানের বাজার।
আলোচ্য কার্যদিবসে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) সবচেয়ে সক্রিয় সয়াবিনের চুক্তি মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১৯ সেন্ট বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতি বুশেলের দাম স্থির হয়েছে ১২ ডলার ৫২ সেন্টে। এদিন একপর্যায়ে যা ছিল ১২ ডলার ৫১ সেন্টে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বরের পর তা সবচেয়ে কম।
বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করছেন, মার্কিন মুলুকে ধারণার চেয়ে বেশি সয়াবিন উৎপন্ন হবে। ফলে কৃষিজ পণ্যটির দরপতন ঘটেছে। বৈশ্বিক কৃষি পণ্য সরবরাহ ও চাহিদা পূর্বানুমানের (ডব্লিউএএসডিই) প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছেন তারা।
ইলিনয়-ভিত্তিক কৃষি ঝুঁকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্লেইটন পোপ কম্মোডিটিজের পরিচালক ক্লেইটন পোপ বলেন, অসংখ্য লোক বলছেন, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রেকর্ড সয়াবিন উৎপাদন হবে। ইতোমধ্যে মার্কিন তেলবীজটির চাহিদায় পতন ঘটেছে। তাতে দরও নিম্নমুখী হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ভোক্তা চীনের ক্রেতাদের কাছে ১ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন সয়াবিন বিক্রি করেছে দেশটি। এছাড়া অন্যান্য গ্রাহকদের নিকট ২ লাখ ১৩ হাজার টন তেলবীজটি সরবরাহ করেছে তারা।