যে কোনো গাছ থেকেই লজ্জাবতী গাছকে সহজে আলাদা করা যায়। বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকায় অন্য যে কোনো গাছ থেকে এ গাছকে চোখেও পড়ে সহজে। ছুঁয়ে দিলেই যেন গাছটি নিজেকে গুটিয়ে নেয় নিজের মধ্যে। শুধু বৈশিষ্ট্য নয়, উপাদানেও অনন্য এবং নানা রহস্যে ভরা এই লজ্জাবতী গাছ।
গাছটির নাম লজ্জাবতী হলেও অনেকের কাছে এটি লাজবন্তী গাছ নামেও পরিচিত। দেখতে একধরনের কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদ। অন্যান্য গাছের চেয়ে এ গাছ যেন অনেক বেশি স্পর্শকাতর। যে কারণে এ গাছ স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে এর পাতা অনেকটাই নেতিয়ে পড়ে।
তবে আপনি জানেন কি লজ্জাবতী গাছ শুধু লাজুকই নয়, এতে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো গুণের রহস্য। আসুন আজকের আয়োজনে জেনে নিই এ গাছের নানা রহস্যময়ী গুণ সম্পর্কে।
লজ্জাবতীর বোটানিক্যাল নাম মিমোসা পুডিকা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর নানা রহস্যে ভরা গুণের কথা উল্লেখ রয়েছে। যেমন: কফ দূর করতে, নাক ও কান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে, ডায়রিয়া, যে কোনো প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, আলসার, কুষ্ঠ কিংবা যোনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে লজ্জাবতী গাছের ব্যবহার দারুণ কার্যকরী।
শ্বাসকষ্ট, আলসার, অর্শ বা পাইলস, পেট ফাঁপা, বদহজম, যে কোনো ক্ষত সারাতে এ গাছের রস ভীষণ কাজে দেয়। এসব সমস্যার সমাধান পেতে ৫ মিলি পরিমাণ লজ্জাবতী পাতার পেস্ট সেবন করতে পারেন। এই ৫ মিলি পরিমাণ লজ্জাবতী পাতার পেস্টই কাবু করে দিতে পারে এসব নানা শারীরিক সমস্যাগুলোকে।
যাদের দাঁত ও মাড়িতে ক্ষত আছে তারা ২০ সেমি লম্বা লজ্জাবতী গাছের মূল পরিষ্কার করে পানিতে ১৫ মিনিট সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। নিয়মিত এ অভ্যাসেই ম্যাজিকের মতো দাঁত ও মাড়ির ক্ষত নিমেষে দূর হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও। সূত্র: টিভি নাইন