বাংলাদেশে গরমের এ সময়টায় মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়। জমে থাকা বৃষ্টির পানিও এ সময় মশার বংশবিস্তারে সাহায্য করে। যার ফলে সকালের পাশাপাশি সন্ধ্যা ও রাতের বেলায় মশার কামড়ে জনজীবন হয়ে ওঠে অতিষ্ঠ। সঙ্গে আশঙ্কা রয়েছে নানা রোগে আক্রান্তেরও। তাই মশাবাহিত নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে বাড়িতে লাগাতে পারেন মশা প্রতিরোধক নানা জাতের গাছ।
মশার উপদ্রব: বাড়িতে এসব গাছের উপস্থিতিতে মশার আনাগোনা অনেকটা কমিয়ে দেবে। আসুন জেনে নিই বাড়িতে কোন গাছগুলো থাকলে বাড়ি থেকে পালাবে মশা।
তুলসী: এই গাছের উপকারী পাতা অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপকারিতাসম্পন্ন এই পাতার আরও বড় উপকারিতা হলো, এই গাছ ও গাছের পাতা মশাকে তাড়াতে কাজ করে। তুলসী পাতায় প্রাকৃতিক একধরনের ঘ্রাণ রয়েছে, যা মশা সহ্য করতে পারে না। এই গাছ ঘরের এমন জায়গায় রাখুন যেখানে মশা বেশি প্রবেশ করে।
সেইজ: সেইজ গাছ অনেকটা তুলসীর মতো। এই পাতার ধোঁয়া মশা দূর করে। ঘরে সন্ধ্যার সময়ে কয়েকটি সেইজ পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া করলে সুমিষ্ট গন্ধ থাকবে ও মশাও দূর হবে।
পুদিনা পাতা: রান্নাঘরের জানালায় বা বারান্দায় যে পুদিনা গাছটি আছে, সেটা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, পাশাপাশি আপনাকে মশার হাত থেকেও রক্ষা করে। দ্রুত বেড়ে ওঠা এই গাছের পাতা থেকে তৈরি তেল মশাকে দূরে রাখবে। এ ছাড়া মশা কামড় দেওয়া স্থানে পুদিনা পাতা ছেঁচে ম্যাসাজ করলেও আরাম পাওয়া যাবে।
লেমন বাম: এই গাছটি দেখতে অনেকটা পুদিনা পাতার মতো, তবে পুদিনা পাতা নয়। একেবারে অযত্নেও এই গাছটি খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে।
লেবু পাতা: লেবু পাতার গন্ধ মশা, মাছি একেবারেই সহ্য করতে পারে না। তাই মশা তাড়াতে বাড়িতে লেবু গাছও লাগাতে পারেন।
ক্যাটনিপ: এই গাছে এক প্রকারের প্রাকৃতিক উদ্ভিজ কেমিক্যাল রয়েছে, যা বিড়ালের পছন্দ এবং মশা, মাছি, পোকামাকড়কে দূর করে। এই গাছ পোকামাকড় তাড়ানোর উপাদানের চাইতেও বেশি কার্যকর। আলো-বাতাস আসে এমন স্থানে খুব সহজেই এই গাছ বেড়ে ওঠে।
গাঁদা: শীতের ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম গাঁদা। যদিও এখন বছরজুড়েই কম বেশি এ ফুল হয়। বাড়িকে মশামুক্ত রাখতে এই গাছকেও লাগাতে পারেন। কারণ এই ফুলের গন্ধে মশা, পিঁপড়া, মাছি এমনকি কচি পাতা খাওয়া পোকাও বাড়িতে প্রবেশ করে না।
ল্যাভেন্ডার: মশা তাড়াতে ল্যাভেন্ডার গাছও বেশ উপকারী। বাড়িতে এ গাছ থাকলে এই গাছের গন্ধে কোনো কীটপতঙ্গ প্রবেশ করতে পারে না। ইঁদুরও ক্ষতি করে না এই গাছের। তাই সামান্য রৌদ্রজ্জ্বল স্থানে এ গাছ রেখে দিতে পারেন। ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি এই গাছ বিরক্তিকর পতঙ্গসহ মশাকেও তাড়াবে অনায়াসেই।