রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে শুনেই ভয় পেয়ে যান অনেকে। তার কারণ কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা ক্রমাগত বাড়িয়ে দেয়।
কী কী দেখে বুঝবেন, শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে কোলেস্টেরল লক্ষণ ?
কোলেস্টেরল বাড়লে কি হয়
১) খেয়াল করুন, চোখের চারপাশে কোনো অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড আছে কি না। সাদা বা হলদে রঙের ছোট ছোট দানা চোখের চারপাশে ভরে উঠলেই বুঝবেন, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে।
২) ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় কি রক্তের জালিকা ভেসে উঠছে? এই সমস্যা কিন্তু রক্তে খারাপ কোলেস্টরল বাড়ার লক্ষণ হতে পারে। পায়ে তেল মালিশ করলে অনেক সময়ই এই জালিকাগুলো মিলিয়ে যায়। তবে, শুধু পায়ে নয়, দেহের যে কোনও অংশেই এই জালিকা দেখা যেতে পারে।
৩) অল্প হাঁটলেই পা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে? এটাও কিন্তু হতে পারে কোলেস্টেরল বাড়ার লক্ষণ। দীর্ঘ দিন ধরে মেদ জমার ফলে হৃদ্যন্ত্রের ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বিশেষ করে দেহের নীচের অংশে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। তাই পায়ে ব্যথা বা অসাড় হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪) তলপেটের মেদ হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে? কোলেস্টেরল থেকে মুক্তির উপায় এ ক্ষেত্রেও কিন্তু সতর্ক হতে হবে। কোলেস্টেরল বাড়লে এই সমস্যাও বাড়ে।
৫) হাতে-পায়ে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে অনেক সময় অসাড় বা ঝিঁঝি ধরার মতো লক্ষণ দেখা যায়। অনেকের আবার হাত-পায়ের ত্বকের রংও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষণ হাঁটলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ে রক্ত জমার মতো কালশিটেও পড়তে দেখা যায়।
কোলেস্টেরল কত থাকা উচিত
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা ২০০-এর কম। মাত্রা ২০০ থেকে ২৩৯-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করলে সতর্ক হতে হবে।
কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা
ভাত ও রুটির চেয়ে ওটস, বার্লি, ভুট্টা বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন আপেল, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ব্ল্যাকবেরি, বাঁধাকপি, কুমড়া, গাজর, ব্রকোলি বেশি খেতে হবে।