শারীরিক ওজন নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। কারণ, ওজন বেড়ে গেলে নানারকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম ডায়াবেটিস। তাই ওজন কমাতে অনেকেই নানারকম চেষ্টা করেন। খাবারে লাগাম টানতে হয়। প্রথমেই তালিকা থেকে বাদ দিতে হয় বাঙালির প্রিয় খাবার ভাত।
এই ভাতে অনেকেরই বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। দিনে অন্তত একবেলা ভাত না খেলে যেন মনের তৃপ্তিই মেটে না। আবার ভাতই অনেকের কাছে পেট ভরানোর খাবার। তাই ডায়াবেটিস বা ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় প্রথমেই ভাত বাদ রাখতে হলে অনেকেই বেশ মন খারাপ করেন।
তবে চিকিৎসকের কথায়, মন খারাপ করার কোনো দরকার নেই। একটি বিশেষ চালের ভাত খেলে মোটেই ওজন বাড়ে না। বরং, এটি ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ঢেঁকিছাঁটা চাল শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
সাধারণ পালিশ করা চালের প্রতি অনেকেরই টান রয়েছে। তবে এই চালের থেকে বেশি পুষ্টিকর হলো ঢেঁকিছাঁটা চাল।
ঢেঁকিছাটা সিদ্ধচালের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ১২.৬ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.৯ খনিজ গ্রাম, প্রেটিন ৮.৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭৭.৪ গ্রাম, খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালোরি) ৩৪৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ মিলি গ্রাম, লৌহ ২.৮ গ্রাম। এছাড়াও এই চালে ক্যারোটিনের পরিমাণ ৯ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিনের পরিমাণ ০.৩৯ মিলিগ্রাম।
বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো পালিশ করা চালের ভাত খাওয়া। এর বদলে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঢেঁকিছাঁটা চাল খেলে তাতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ঠিক থাকে।
ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই পুষ্টির দিকটাকে অবহেলা করেন। চিকিৎসকের কথায়, এই চাল শরীরে পুষ্টির পরিমাণও ঠিক রাখে। চালের উপরিভাগে বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান থাকে। চাল পালিশ করার ফলে এই অংশটিই চাল থেকে হারিয়ে যায়। এতে পুষ্টির পরিমাণও যায় কমে।
একসময় শহর-গ্রামে সবাই ঢেঁকিছাঁটা চাল খেতেন। বর্তমানে চলছে পালিশ করা চালের যুগ। ফলে ঢেঁকিছাঁটা চাল খাওয়ার প্রচলন অনেকটাই কমে গেছে। এই চাল খেলে হাঁটু ও কোমরের সংযোগের ব্যথাও ধীরে ধীরে কমে যায়। কাজেই পালিশ করা চাল ফেলে আজই ঘরে তুলুন ঢেঁকিছাঁটা চাল।