চিকিৎসকরা বলছেন, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে পুরুষ মানুষের মধ্যে স্পার্ম কাউন্ট অনেকটাই কমে এসেছে। এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৫০ বছর ধরে ধীরে ধীরে এই স্পার্ম কাউন্ট কমেছে বলেই একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। এই সময়কাল ধরে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট ৬২ শতাংশ কমেছে বলেই জানা গিয়েছে এই গবেষণায়।
গবেষণার এই তথ্য নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে চিকিৎসক মহলে। একবিংশ শতাব্দীতে যে পুরুষ মানুষের ফার্টিলিটি ও সেই সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্যও যে খারাপের দিকে যাচ্ছে তা এই গবেষণা থেকেই প্রমাণিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একজন পুরুষের স্পার্ম কাউন্টকে তার স্বাস্থ্যের সূচক হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে। ফলে, যদি কোনো পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কম থাকে, তাহলে তার স্বাস্থ্যও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেই ধরে নেয়া হয়। এছাড়াও যদি কোনো পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কম থাকে, তার বেশ কিছু দীর্ঘস্থায়ী অসুখেও ভুগতে পারেন তিনি। এছাড়াও টেস্টিকুলার ক্যান্সার ও সেই পুরুষের জীবনের সময়কালও কমার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
নিউ ইয়র্কের ইকাহান স্কুল অব মেডিসিনে অধ্যাপক সানা সওয়ানের সঙ্গে মিলে এই গবেষণাটি করেন তিনি।
পুরুষের শরীরে যে বীর্যের পরিমাণ কমে যাচ্ছে তা এই গবেষণা থেকেই পরিস্কার বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই গবেষণার ফলাফল পুরো বিশ্বকে জানানো তাদের নৈতিক কর্তব্য বলেই জানিয়েছেন অধ্যাপক লেভিন। আগামী দিনে পুরুষ মানুষের শরীরে স্পার্ম কাউন্ট আরো কমবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
গত ২০১৭ সালেও স্পার্ম কাউন্ট নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন লেভিন। সেই রিপোর্টে বলা হয় যে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পুরুষ মানুষের স্পার্ম কাউন্ট ১৯৭৩ থেকে ২০১১-র মধ্যে ৫০ শতাংশ কমেছে। তখন এই রিপোর্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়।
Human Reproduction Update নামক একটি জার্নালে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রতি মিলিলিটার সিমেনে পুরুষদের মধ্যে স্পার্ম কাউন্ট এসে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটিতে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি মিলিলিটার সিমেনে যদি দেড় কোটির কম স্পার্ম থাকে, সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির স্পার্ম কাউন্টকে লো হিসেবেই ধরা হয়।